ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোচ নিয়োগে তাড়াহুড়া নেই বিসিবির

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ২২ জুলাই ২০১৯

 কোচ নিয়োগে তাড়াহুড়া নেই বিসিবির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাছাড়া কোচ স্টিভ রোডসের কর্মপদ্ধতিও তেমন পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তাই বিশ্বকাপ শেষেই নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে রোডসকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। স্থায়ী কোন কোচ ছাড়াই আপাতত শ্রীলঙ্কায় ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল। নতুন কোচ নিয়োগে তাড়াহুড়া করতে চায় না বিসিবি, তাই আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, হাইপ্রোফাইল অনেকেই বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন কোচ হওয়ার জন্য। ভালমানের এবং অভিজ্ঞ কাউকে দায়িত্ব দেয়ার জন্যই বিসিবি এ বিষয়ে তাড়াহুড়া করতে চায় না বলে রবিবার জানিয়েছেন তিনি। প্রধান কোচের জন্য বেশ কয়েকজন বিদেশী কোচের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে বিসিবি। তবে তাদের ভাবনায় শুধু বিদেশী কোচ নয়, রয়েছেন কয়েকজন দেশী কোচও। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর বেশ কিছুটা সময় জাতীয় দলের কোন ব্যস্ততা নেই। তাই কোচ নির্বাচনে তাড়াহুড়া করতে চায় না বিসিবি। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজে অস্থায়ী কোচ করা হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। নিজামউদ্দিন দেশী কোচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই এটার একটা ইতিবাচক দিক আছে। আমাদের যারা ভাল কোচ আছেন তাদের একটা সুযোগ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার। সমস্ত বাইরের বড় বড় কোচের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়। শুধু কোচ না, আমাদের একজন ফিজিওকে দলের সঙ্গে রেখেছিলাম পূর্ণ মেয়াদের ভিত্তিতে। বাইরের ফিজিওকে বাদ দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়ার যে রীতিগুলো ছিল সেটা থাকবে ভবিষ্যতেও।’ বিশ্বের অনেক দলই এখন দেশীয় কোচের ওপর নির্ভরশীল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত কিংবা নিউজিল্যান্ড তাদের দেশী কোচের হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে সফল হয়েছে। তবে বাংলাদেশ এখনও সেই পথে হাঁটতে পারেনি। দেশী কোচদের ওপর বিসিবির আস্থা তৈরি হয়নি বলেই এমন হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেশীয় কোচদের উপস্থিতি সেভাবে দেখা যায়নি। হাতেগোনা কয়েকজন কোচ কাজ করেছেন জাতীয় দলের প্রধান বা সহকারী কোচ হিসেবে। এর মধ্যে সারওয়ার ইমরান অন্যতম। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়া ১৯৯৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সহকারী কোচ এবং অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সালাউদ্দিন ও খালেদ।
×