ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশদের হারিয়েই সেমিতে যেতে চায় অসিরা

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১০ জুন ২০১৭

ইংলিশদের হারিয়েই সেমিতে যেতে চায় অসিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্যতম ফেবারিট। কিন্তু স্টিভেন স্মিথদের দুর্ভাগ্য গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম দুটি ম্যাচই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। একটি করে মোট ২ পয়েন্ট নিয়ে এ-গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে অসিরা। শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ শুরু হওয়ার পথে। সমান একটি করে হার ও পরিত্যক্ত ম্যাচ মিলিয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে এই দু’দল। তবে ‘টাইগার-কিউই’ ম্যাচের রেজাল্ট যাই হোক আজ গ্রুপের শীর্ষে থাকা ইংলিশদের হারিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় অস্ট্রেলিয়া। সেনাপতি স্মিথ তেমনটাই জানিয়েছেন। অন্যদিকে টানা দুই জয়ের পর এই ম্যাচ জিতে সেমির প্রস্তুতিটা সারতে চায় ইংল্যান্ড। শেষ চারে টিকে নিশ্চিত হলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এতটুকু ছাড় দিতে নারাজ স্বাগতিক অধিনায়ক ইয়ন মরগান। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্মিথ বলেন, ‘টানা দুটি ম্যাচে ফল না পাওয়ায় আমরা অবশ্যই হতাশ। কিন্তু আবহাওয়ার ওপর কারও হাত নেই। এখন আমাদের জন্য সমীকরণ একেবারে সহজÑ ইংল্যান্ডকে হারাতে হবে এবং আমরা সেটা করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘরের মাটিতে ইংলিশরা ভাল ক্রিকেট খেলছে। সুতরাং তাদের হারাতে হলে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। প্রতিটি পজিশনে প্রতিপক্ষকে বিট করতে হবে। ছেলেরা সেটা করার জন্য মুখিয়ে আছে।’ দুই ম্যাচে ফেবারিট অসিদের ভাগ্যের উল্টো দুই পিঠ দেখতে হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কোণঠাসা অবস্থা থেকে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দাপটে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। বলা ভাল, এজবাস্টনে সেদিন হার থেকে বেঁচে গেছে তারা। নিউজিল্যান্ডের ২৯১ রানের জবাবে ৫৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অসিরা। এরপর বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে বাগে পেয়েও সেই বৃষ্টির কারণেই ১ পয়েন্ট হাতছাড়া। টাইগারদের ১৮২ রানে অলআউট করে ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ৮৩ রান তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ৪টি ওভার খেলা হলেই ‘ডার্কওয়ার্থ লুইস’ পদ্ধতিতে তারাই জিতে যেত কিন্তু বৃষ্টি সেটি হতে দেয়নি। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউডদের নিয়ে বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। ব্যাটিংয়ে স্মিথের সঙ্গে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার, এ্যারন ফিঞ্চ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। বিশ্লেষকদের ধারণা, টানা দুই জয়ের পর সেমির কথা ভেবে আজ হয়তো কয়েকজনকে বিশ্রাম দিতে পারে ইংলিশরা। তবে অধিনায়ক মরগান সিরিয়াস, ‘আমরা কখনই এরকমটা ভাবছি না। যদি আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতে হয় তাহলে টুর্নামেন্টের সব ভাল দলকেই হারাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া সেরা দলের একটা। তাই তাদের বিপক্ষে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না। তাদের ছাড় দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।’ উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে ও এরপর নিউজিল্যান্ডকে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড। দুটি ম্যাচেই অনায়াসে ৩ শ’র ওপরে রান তোলে স্বাগতিকরা। কার্ডিফে ৩১০ রানের বড় স্কোর গড়ার পর কিউইদের ২২৩ রানে অলআউট করে ইংল্যান্ড। বোলারদের নৈপুণ্যে দারুণ খুশি অধিনায়ক মরগান এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। হাসিম আমলা, ফ্যাফ ডুপ্লেসিসদের আউট করার পর বোলাররা আগের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক। তারা বুঝতে পারছে সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কোন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ভাল করা সম্ভব।’ এদিন লিয়াম প্লাঙ্কেট ৪, আদিল রশিদ ২, জেক বল ২ ও বেন স্টোকস নেন ১টি করে উইকেট। ব্যাটিংয়ে ফর্মে আছেন এ্যালেক্স হেলস, জো রুট, জস বাটলার আর বেন স্টোকসরা। ১৯৭১ থেকে এ পর্যন্ত মুখোমুখি ১৩৬ ওয়ানডের ৮০টিতে জয় অস্ট্রেলিয়ার। ৫১টিতে ইংল্যান্ড। টাই ২ ও পরিত্যক্ত ৩ ওয়ানডে। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে ২০১৫’র সেপ্টেম্বরে শেষ দেখায় ৮ উইকেটের জয়ে ৩-২এ সিরিজ জিতেছিল তখন সদ্যই নেতৃত্ব পাওয়া তারুণ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া।
×