ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডি ককের ব্যাটে প্রোটিয়াদের জয়

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ডি ককের ব্যাটে প্রোটিয়াদের জয়

নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, বৃষ্টিবিঘিœত প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে হার স্বাগতিক কিউইদের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড-দ. আফ্রিকা ‘হাইভোল্টেজ’ পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডের প্রথমটিতে ৪ উইকেটের ‘নাটকীয়’ জয় পেয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে বৃষ্টির কারণে ৩৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৭ উইকেটে ২০৭ রানের ‘ফাইটিং’ স্কোর গড়ে স্বাগতিক কিউইরা। জবাবে ইনিংসে ১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা। বোঝাই যাচ্ছে, দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে আসা লড়াইয়েও উত্তাপের কমতি ছিল না। শেষ ওভারের ৬ বল থেকে অতিথিদের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। টিম সাউদির দ্বিতীয় বলে তরুণ এ্যান্ডিলে ফেকুওয়ের ছক্কা (৩৭*) ও পঞ্চম বলে অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের (২৯*) দারুণ চারে ‘নাটকীয়’ জয় পায় দ. আফ্রিকা। সেই সঙ্গে সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। তবে ৬৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। এর মধ্য দিয়ে টানা ১২ ওয়ানডে জয়ে নিজেদের অতীত রেকর্ড স্পর্শ করল প্রোটিয়ারা। বুধবার ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ম্যাচ। টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড শুরুতেই টম লাথামকে (০) হারিয়ে ধাক্কা খায়। এরপরই ব্রাউনলিকে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকেন অধিনাযক কেন উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯.১ ওভারে ৫০ রান যোগ করেন দু’জনে। ইনিংসের মধ্যপথে ক্রিস মরিস আবার জমিয়ে তোলেন। একই ওভারে ব্রাউনলি (৩১) ও অভিজ্ঞ রস টেইলরকে (১) সাজঘরে ফেরান প্রোটিয়া পেসার। এক ওভারের ব্যবধানে মরিস যখন নেইল ব্রুমকেও (২) ফিরিয়ে দেন কিউইদের রান তখন ৪ উইকেটে ৮২। এরপরও চ্যালেঞ্জিং স্কোরের রূপকার লোয়ার-মিডলঅর্ডারের ব্যাটিং। জিমি নিশাম ৩৫ বলে ৩১, মিচেল স্যান্টনার ১৭ রান করে আউট হন। তবে অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি মাত্র ২৩ বলে ৫১ রান তুলে নেন। গ্র্যান্ডহোম ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩৪ এবং সাউদি ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়সেরা বোলিংয়ের পথে ৭ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন মরিস। তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার শিকার ২। ১টি উইকেট চায়নাম্যান স্পিনার তাবারেজ শামসির। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ১৫ ওভারেই ৮৮ রান তুলে নেন দুই ওপেনার। আমলা ৪৩ বলে ৩৫ ও ফ্যাফ ডুপ্লেসিস ১৪ রান করে ফেরার পর হঠাৎই ছন্দপতন। পরপর দুই বলে জেপি ডুমিনি (১) ও ফারহান বিহারদিয়েনকে (০) সাজঘরে ফেরান সাউদি। ১২৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আস্কিং রানরেটও বাড়তে থাকে। কঠিন সময়ে ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গ দেন মরিস (১৬ বলে ১৬)। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে এ্যান্ডল ফেকুওয়ের ব্যাটিং ছিল মনে রাখার মতো। ক্যারিয়ারে মাত্র ১১তম ওয়ানডে খেলতে নামা কৃঞ্চাঙ্গ অলরাউন্ডার ২৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। যার মধ্যে রয়েছে শেষ ওভারের ওই মূল্যবান এক ছক্কা। ৩৪ বলে ৩ চারের সাহায্যে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। সাউদি ২, মিচেল স্যান্টনার, ট্রেন্ট বোল্ট, ইশ সোধি ও উইলিয়ামসন নেন একটি করে উইকেট। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড ২০৭/৭ (৩৪ ওভার; ব্রাউনলি ৩১, উইলিয়ামসন ৫৯, নিশাম ২৯, স্যান্টনার ১৭, গ্র্যান্ডহোম ৩৪, সাউদি ২৪; মরিস ৪/৬২, রাবাদা ২/৩১)। দক্ষিণ আফ্রিকা ২১০/৬ (৩৩.৫ ওভার; ডি কক ৬৯, আমলা ৩৫, ডি ভিলিয়ার্স ৩৭*, মরিস ১৬, ফেকুওয়ে ২৯*; সাউদি ২/৪৭, বোল্ট ১/৪৫)। ফল ॥ দ. আাফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ডি কক (দ. আফ্রিকা)। সিরিজ ॥ পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে দ. আফ্রিকা ১-০তে এগিয়ে।
×