ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের সজনে

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের সজনে

সজনে

প্রতি বছরের মতো এবারও মৌসুমী সবজি সজনের বাম্পার ফলন হয়েছে জয়পুরহাটে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সজনের উৎপাদন হয়েছে অনেক বেশি।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব, মালোশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরাতসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে জয়পুরহাটের সজনে। আয়ও হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, লক্ষমাত্রা না থাকলেও জয়পুরহাট জেলায় এবার ২ হাজার ৭ হেক্টর পতিত জমিতে সজনের চাষ হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন সজনে পাওয়ার আশা করেছে কৃষি বিভাগ।

এবার উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সজনে স্থানীয় ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

চাষীরা জানায়, প্রথম দিকে বাজারে সজনে প্রতি কেজি ২ শ টাকার উপরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বাজারে ব্যাপক আমদানি বেশি হওয়ায় বাজারে অনেক দাম কমে গেছে। বর্তমানে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রতি কেজি ৪০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করছে পাইকারি ক্রেতারা।

পাঁচবিবি বটতলী বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানায়, বটতলী বাজারে মূলত কচুর লতি বিক্রি হলেও মৌসুমী সবজি হিসেবে প্রচুর পরিমাণে সজনেও কৃষকরা বিক্রি করতে নিয়ে আসে এখানে। মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন সজনে ক্রয়-বিক্রয় হয়।

সজনে ব্যবসায়ী সহিদুল বলেন, সজনের মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রচুর পরিমাণ সজনে বিক্রি করতে আসে কৃষকরা। আমরা তাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকি।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি বিভাগ সাংবাদিকদের জানায়, সজনে প্রধানত দুই প্রজাতির। এর মধ্যে এক প্রজাতির সজনে বছরে তিন থেকে চার বার পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় বারমাসী বা রাইখঞ্জন। অপরটি মৌসুমী হিসাবে পাওয়া যায়। বিশেষ করে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ব্যাপক ভাবে সজনের চাষ হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের আইপিএম, আইসিএম ও এনসিডিটি প্রকল্পের আওতায় কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষক কৃষাণীদের মাঝে পতিত জমির আইল, পুকুর পাড়ের আইল, বাঁধের ধারে বাড়ির আশেপাশে এমন কী শহর বন্দরের যে কোনো ফাঁকা জায়গায় সজনে লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সজনে গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুতে রাখলেই গাছ জম্মায়। গাছের কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠে এ গাছ। বড়-মাঝারি ধরনের একটি গাছ থেকে ৫-৬ মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া যায়।

বিনা খরচে সজনে চাষ অধিক লাভ জনক হওয়ায় অনেকেই রাজশাহী ও ভারত থেকে বারমাসী জাতের চারা সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক ভাবে সজনে চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

 

এসআর

×