ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

২০২০-তেই রাস্তায় নামতে চলেছে প্রথম ফ্লাইং কার

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ২২ এপ্রিল ২০১৭

২০২০-তেই রাস্তায় নামতে চলেছে প্রথম ফ্লাইং কার

অনলাইন ডেস্ক ॥ দেখতে অনেকটা আই ড্রপের মতো। পিছনটা ক্রমশ সরু হয়ে গিয়েছে। সুইচ টিপলেই দরজা দুটো দু’পাশে ডানার মতো খুলে যাবে। আর তার পরেই দ্বিগুণ গতিতে উড়তে শুরু করবে। ঠিক যেমনটা সিনেমায় দেখে থাকি আমরা। উড়ুক্কু যান আসতে চলেছে বলে অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। গুগল, উবেরের মতো সংস্থাগুলি তার নকশাও প্রকাশ করেছে বেশ কয়েক দিন। কিন্তু এই প্রথম উড়ুক্কু যান একেবারে সামনে নিয়ে এল স্লোভাকিয়ার এরোমোবিল নামে একটি সংস্থা। বৃহস্পতিবার মোনাকোয় গাড়ি প্রদর্শনী ইভেন্টে উড়ন্ত যানটি সামনে আনে সংস্থা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে ৫০০টি এমন গাড়ি তৈরি করা হবে। গাড়ির মডেল অনুযায়ী যার দাম ১৩ লক্ষ ডলার থেকে ১৬ লক্ষ ডলারের মধ্যে থাকবে। রাস্তাতেও যেমন দুরন্ত গতিতে ছুটে চলবে, তেমন যখন তখন এই যানটিতে উড়িয়ে নিয়ে যেতেও পারবেন। সাধারণ গাড়ি থেকে উড়ন্ত গাড়িতে পরিবর্তন করার জন্য একটি সুইচ রয়েছে। যার সাহায্যে মাত্র তিন মিনিটেই গাড়িটি উড়ুক্কু যানে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। দুই দরজা ডানার মতো দু’পাশে খুলে যাবে। রাস্তাতে এই যানটি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৭৭ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে। আর আকাশে সর্বাধিক ৩৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ৪৬৬ মাইল উড়তে পারবে। এরোমোবিলের মুখ্য কমিউনিকেশন অফিসার স্টিফান ভাদোক জানান, এই যান চালাতে গেলে একই সঙ্গে ড্রাইভিং এবং পাইলট লাইসেন্সের প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র ইউরোপে এই যান চালানোর অনুমোদন পেয়েছে সংস্থা। আমেরিকাতে তা চালু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার পর সংস্থার লক্ষ্য হবে চিন। উবের এবং গুগলের সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থা জি.এরোও উড়ুক্কু যান নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছে। তবে এই দু’ক্ষেত্রেই যানটি ভার্টিকাল টেক-অফ ল্যান্ডিং করবে। অর্থাৎ হেলিকপ্টারের মতো যে কোনও জায়গা থেকেই উড়ে যেতে পারবে এবং নীচে নামতে পারবে। এর জন্য রানওয়ের প্রয়োজন নেই। সে উড়ুক্কু যান শুধুমাত্র উড়বে। রাস্তায় অন্যান্য গাড়ির মতো ছুটতে পারবে না। কিন্তু এরোমোবিল সংস্থার এই যান দুই-ই পারবে। রাস্তায় যেমন পাল্লা দিয়ে ছুটবে তেমন উড়বেও। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×