জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে আরও একধাপ এগিয়েছে জামায়াত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এই সিদ্ধান্ত নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতার প্রতি জামায়াতের আস্থা রয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে কমিশনের দায়িত্ব পালন নিয়ে কিছু কিছু প্রশ্ন উঠছে। তারা যেন কোনও পক্ষের প্রতি ঝুঁকে না পড়ে। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কমিশনকে জাতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দলের ওপর জুলুম করে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জুলাইয়ের যোদ্ধাদের জীবনদানের মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথ তৈরি হয়েছিল।
অপরদিকে, আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে—এটা সবার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সবাই একত্র হয়ে জামায়াতে ইসলামীর এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হবেন, এটাও আমরা প্রত্যাশা করি। সেইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এখন বাংলাদেশে স্মার্ট, ইফেক্টিভ, ইনোভেটিভ এবং ইনক্লুসিভ রাজনৈতিক পরিবেশ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। এছাড়া সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও জামায়াতের ভূমিকা হবে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী তার সব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে। আশা করি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন নতুন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সৃষ্টি হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি গঠনে সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমরা প্রত্যাশা করি, নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, যা সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
সজিব
