
ছবিঃ সংগৃহীত
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর “জামায়াতের সঙ্গে জান্নাতে যেতে চাই না” মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ। তিনি বলেন, “কাদের সিদ্দিকী নিজে নয়া দিগন্তে লিখেছেন, দিগন্ত টেলিভিশনে টকশো করেছেন। তাহলে এখন সেই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা কতটা যুক্তিসঙ্গত?”
তিনি বলেন, “মীর কাসেম আলী এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সবার সম্পর্ক ছিল। উনি লাঞ্চে, ডিনারে অতিথি আপ্যায়নে ছিলেন ব্যতিক্রম। কাদের সিদ্দিকী সাহেবের বক্তব্যটা পুরোপুরি রাজনৈতিক। আমি দিগন্ত মিডিয়ার সঙ্গে থাকি বলে অনেকে আমাকে জামায়াত মনে করেন, অথচ আমি জামায়াতের কোনো প্রার্থী না।”
শিব্বির মাহমুদ আরও বলেন, “সমাজে বিভাজনটা সৃষ্টি করেছে গত সরকার। ইসলামী চিন্তাবিদ দেখলেই টুপি-দাড়ি দেখে বলে জামায়াত। এটা বিভাজনের রাজনীতি। আবার শেখ সাহেবের মূর্তি বানিয়ে ইসলামের ওপর আঘাত করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “কাদের সিদ্দিকী যদি নয়া দিগন্তকে অপছন্দ করতেন তাহলে লিখতেন না, দিগন্ত টেলিভিশনের টকশোতেও আসতেন না। আমি নিজেই একবার তাঁর সঙ্গে লাঞ্চ করেছি। উনি নিজে বলেছিলেন, ‘ভাই, আপনি কি আমাকে চেনেন?’ আমি বলেছিলাম, জি স্যার, আপনাদের দেখেই তো বড় হয়েছি। এরপর উনি নীরব হয়ে গিয়েছিলেন।”
শিব্বির আরও বলেন, “দিগন্ত মিডিয়ায় শুধু জামায়াত না—এরশাদ সাহেব, আওয়ামী লীগ, বিএনপির বহু নেতাও আসতেন। আমাদের প্ল্যাটফর্ম ছিল উন্মুক্ত। কিন্তু যখন মীর কাসেম আলীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা আসে, তখন সরকার কোনো সহায়তা করেনি। ব্যবসায়িক দিক থেকেও আমরা চাপে ছিলাম।”
দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়। কোনো এজেন্সি বিজ্ঞাপন দিলে তাদের মালিকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হতো যেন বিজ্ঞাপন না দেয়। এতে ধীরে ধীরে টিভি বন্ধ হয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, “অনেক লেখক বিনা পারিশ্রমিকে লিখে গেছেন। আমরা এখনো অনেকের টাকা শোধ করতে পারিনি। বিএনপি বা জামায়াতপন্থি দু-একটি কোম্পানি কখনো বিজ্ঞাপন দিয়ে সহায়তা করেছে।”
এছাড়া, গোলাম মাওলা রনির লেখা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “তিনি তখন রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছিলেন এবং নয়া দিগন্তকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেছিলেন। ফরহাদ মজহার, মাহমুদুর রহমান, বিচারপতি ইফতেখার সহ অনেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”
ইমরান