ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শব্দদূষণ প্রতিরোধ

সাব্বির হাসান

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ২৭ মার্চ ২০২৪

শব্দদূষণ প্রতিরোধ

শব্দদূষণ এক ধরনের মারাত্মক পরিবেশদূষণ

শব্দদূষণ এক ধরনের মারাত্মক পরিবেশদূষণ। আমাদের সঠিক অনুধাবনের অভাবে দিন দিন এই দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনেক পরিবেশবাদী বাংলাদেশের শব্দদূষণের বর্তমান পর্যায়কে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করেছেন। আর এই ‘শব্দসন্ত্রাস’ আমাদের মাথাব্যথার কারণ। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা হলো। দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্সের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।

তার অন্যতম প্রধান কারণ শব্দদূষণ। এই দূষণ এখন ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সমন্বিত একটি অংশীদারিমূলক কর্মসূচির আওতায় সারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে আটটি বিভাগীয় সদরের শব্দদূষণের পরিমাপ করে। সেখানে দেখা যায়, শব্দদূষণের জন্য মূলত গাড়ির হর্ন সবচেয়ে বেশি দায়ী। ঢাকা শহরের এমন কোনো রাস্তা পাওয়া যাবে না, যেখানে শব্দের মাত্রা ওই এলাকা বা বাণিজ্যিক এলাকার শব্দের নির্দিষ্ট মাত্রার ভেতরে থাকে। ২০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা হলেই আমরা সেটি শুনতে পাই।

এর কম হলে পারি না। ২০ থেকে ২০০০০ হার্জ পর্যন্ত শব্দ আমরা শুনতে পারব। এর চেয়ে বেশি হলে আমাদের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  বাংলাদেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা (২০০৬) অনুযায়ী, নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, শিল্প এলাকা ও মিশ্র এলাকা- এই পাঁচটি জোনে দিন ও রাতে আলাদা করে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নীরব এলাকার জন্য দিনের বেলা ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল মাত্রা দেওয়া হয়েছে। শিল্প এলাকায় সর্বোচ্চ ৭০ এবং রাতে ৭৫ ডেসিবেল মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের কোথাও এই মাত্রা মেনে চলা হয় না, শব্দ সব জায়গায় এই মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

ময়মনসিংহ থেকে

×