মাথার ওপর অনেক চাপ
মাথার ওপর অনেক চাপ নিয়ে বসে আছেন? জন্মদিন, ফোন নম্বর, বিয়েবার্ষিকী, বাজারের লিস্ট, এত এত পাসওয়ার্ড, অফিসের কাজ, সব মিলিয়ে তালিকা বেশ লম্বা। এত কিছু মাথায় রাখা সত্যিই সম্ভব নয়। তাই তো মাথার চাপ কমাতে বাজারে এসেছে সেকেন্ড ব্রেন! এটি কোনো চিপ নয়। অপারেশন করেও শরীরে বসাতে হবে না। এটা আসলে একটা ডিজিটাল নথি। এটি এমন এক জিনিস যা কোনো ডকুমেন্ট বা ছবি স্টোর করে রাখতে পারে অন্তত ৫০০ বছরের জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ক্লাউড বেসড ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম। অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্টিভেট হবে। অ্যাপ ডাউনলোড হলেই সেকেন্ড ব্রেনের কাজ শুরু। এতে বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে। এর খরচ মাসে ৫৬০ টাকা থেকে শুরু হয়। এটাকে ডেটা স্টোরেজ বলা যেতে পারে। কিন্তু, অ্যাপ সংস্থাগুলো বলছে হিউম্যান মেমোরি।
তাদের দাবি, সেকেন্ড ব্রেন মানব মস্তিষ্কের মতোই ডেটা স্টোর করে স্মৃতিকে ধরে রাখছে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী সেকেন্ড ব্রেন বেছে নিতে পারবেন। এর জন্য প্লে স্টোর থেকে কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। যেমন- নোশন, এভারনোট, ওয়ান নোট এবং ওবসিডিয়ানের মতো অ্যাপে রয়েছে সেকেন্ড ব্রেন। আর এসব অ্যাপেই ক্লাউডে ডেটা স্টোর হবে।
২০০৮ সালে সেকেন্ড ব্রেন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা তখন বলেছিলেন, মনে রাখাটা মস্তিষ্কের প্রধান কাজ নয়। বরং এর কাজ নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনা করা। মনে রাখার জন্য অন্য ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারই ফলস্বরূপ সেকেন্ড ব্রেন।
সেকেন্ড ব্রেনের আইকিউ বেশ ভালো। এটি নিজের বুদ্ধিতেই চলতে পারে। কোনো কোন তথ্য আপনার স্টোর করা উচিত এটি সে বিষয়েও নিয়মিত আপনাকে মোবাইলে অ্যালার্ট দিতে থাকবে।
সমীক্ষা বলছে, গড়ে দিনে একজনের মাথা থেকে ৩০ থেকে ৫০টি তথ্য মুছে যায়। আইনস্টাইনের মতো যাদের আইকিউ তাদের ক্ষেত্রে এই হার কিছুটা কম। তবে দ্রুত মুছে যায় ফোন নম্বর, পাসওয়ার্ড, পরিচিতদের সঙ্গে প্রথমবার পরিচয়ের পর তাদের নাম, এপ্লয়ি আইডি, ব্যাংক আইডিসহ অনেক তথ্য। মুছে যায় এমন অনেক তথ্য যা আপনি কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চান না। সেক্ষেত্রে সেকেন্ড ব্রেন বেশ উপকারি। -অনলাইন অবলম্বনে।