ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আর ১ দিন

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৫ মার্চ ২০২০

আর ১ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেখতে দেখতে চলে আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বাঙালী এখন আরও বেশি আবেগাপ্লুত। এতদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে। আর মাত্র ১ দিন পর ১৭ মার্চ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। একই দিন সূচনা করা হবে মুজিববর্ষের। চলবে বছরব্যাপী উদ্যাপন। প্রথম দিনের আয়োজনগুলোর মধ্যে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। শনিবার থেকে সেখানে শূটিং শুরু হয়ে গেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ক্যামেরায় ধারণ করা হচ্ছে। মুজিববর্ষের প্রথম দিন দেশের সব টেলিভিশনে প্রচার করা হবে এ অনষ্ঠান। সর্বশেষ প্রস্তুতি জানতে শনিবার সন্ধ্যায় কথা হয় টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী দিন প্যারেড স্কয়ারে যে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল সেটিই আমরা ক্যামেরায় ধারণ করছি। মঞ্চের সামনে কোন দর্শক থাকছেন না। তবে অনুষ্ঠানটি ঠিক থাকছে। রাত ৯টার দিকে প্রথম পর্বের শূটিং শুরু হতে পারে। মধ্যরাত বা তারও বেশি সময় ধরে চলবে। একশ’ শিশু এতে অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি। থাকছেন বড়রাও। এভাবে টানা তিন দিন অনুষ্ঠান ধারণের কাজ করা হবে। এ অনুষ্ঠানই ১৭ মার্চ একযোগে বাংলাদেশের সব টেলিভিশনে প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি। বলেন, টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে আমাদের এ ব্যাপারে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সকলেই অনুষ্ঠানটি প্রচার করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে কেমন হবে অনুষ্ঠানটি? এমন প্রশ্নে বিশিষ্ট এ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বলেন, আমি একটু পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। তবে সবার চেষ্টা ও আন্তরিকতা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে চমৎকার কিছু হবে বলেই আশ্বস্ত করেন তিনি। আতশবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাত ৮টায় আতশবাজির আয়োজন করা হবে। লোকসমাগম এড়িয়ে বাস্তবায়ন কমিটি এর আয়োজন করবে। আগ্রহী সাধারণ মানুষ নিজ উদ্যোগে এমন কিছুর আয়োজন করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতির জনক তো সবার। আমরা চাই সকলেই জন্মদিনের উৎসবে মাতুক। নিজেদের মতো করে উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনে আমি কোন সমস্যা দেখি না। তবে যাই করা হোক না কেন, বড় সমাবেশ ঘটতে দেয়া যাবে না। বেশি লোক সমাগম এড়িয়ে উদ্যাপন করতে হবে। এদিকে তারও আগে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবছর ১৭ মার্চ জাতীয়ভাবে শিশু দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। এবারও সীমিত পরিসরে তা করা হবে। এদিন শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। থাকবে আরও নানা আয়োজন।
×