অনলাইন রিপোর্টার ॥ মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে চতুর্থ দিনের মত আজ শুক্রবারও আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকলের শ্রমিকরা। স্ব-স্ব মিল গেটেই তারা অবস্থান করছেন। এতে অনশনে অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক আব্দুস সাত্তারের জানাজা শুক্রবার সকাল ১০টায় সম্পন্ন হয়েছে। প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলের সামনের সড়কে আব্দুস সাত্তারে জানাজায় খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনরত শ্রমিকরা অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছেন শ্রমিক নেতারা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অনশনরত শ্রমিকদের প্রতি নজর রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুর বিষয়ে গুজব না ছড়াতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানও প্রেসব্রিফিং করেছেন। তিনি আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন স্থগিত করার আহ্বান জানালেও তা মানেননি শ্রমিকরা।
অপরদিকে একই দাবিতে নরসিংদীতে টানা চতুর্থ দিনের মতো আমরন অনশন পালন করছেন পাটকল শ্রমিকরা। শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।
আমরণ অনশনে খুলনার প্লাটিনাম জুবলি জুটমিলের শ্রমিক আব্দুর সাত্তারের মৃত্যুতে কালো ব্যাচ ধারণ, গায়েবি জানাজা ও দোয়াসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা। অনশনের কারণে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিক মো. আনোয়ারুল হক সোহাগ বলেন, দিন দিন শ্রমিকদের মধ্যে অসুস্থের হার বাড়ছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি বিল্লাল নামে এক শ্রমিক ওষুধ খাচ্ছে না। দাবি আদায় না হওয়া পযর্ন্ত সে কিছুই মুখে দেবে না বলে জেধ ধরে আছে।
নন সিবিএ পরিষদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আরেফিন বলেন, চারদিন যাবৎ অনশন চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: