তুরস্কের হাসান কায়েফ বসতি সব সময় দজলা নদীর জলে নিজের ছায়া দেখে। এভাবেই দিন, মাস, বছর, ...১২ হাজার বছর, হয়তবা তারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা-দজলা তীরের হাসান কায়েফ বসতির ইতিহাস মেসোপটেমিয়া, বাইজেনটাইন, আরব সা¤্রাজ্য, অটোমান সাম্রাজ্যের বহু আগের। তবে বিষয়টি নিয়ে তুর্কী সরকার খুব একটা চিন্তিত নয়, তারা বরং ‘ইলিসু বাঁধ’ তৈরির জন্য বসতি ডুবিয়ে দিতেও প্রস্তুত। সেজন্য ৮ অক্টোবরের মধ্যে বাসিন্দাদের এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, মানব সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতির সলিলসমাধি হতে কয়েক সপ্তাহ দেরি। অথচ এ নিয়ে অনেক মামলা হয়েছে। হাসান কায়েফ ধ্বংস হলে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে আঘাত লাগবে, এ যুক্তিতে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসে মামলা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। লাভ হয়নি। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে ব্যাটম্যান শহর থেকে গাড়িতে প্রায় ৩০মিনিট সময় লাগে বসতিটির কাছে যেতে। সেখানে রয়েছে হরেক রকমের গুহা, গির্জা ও সমাধি। ১২ হাজার বছরের বেশি ইতিহাসের সাক্ষী হতে গেলে আয়তনে ও বৈচিত্র্যেও সমৃদ্ধ হতে হয়! তবে দূর থেকে দেখে বোঝা যায় না মানব সভ্যতার ইতিহাসের এত বড় ভার বইছে সে। শুধু মনে হয়, দজল নদীর তীরে একটুকরো মরূদ্যান। পরিবেশবাদীদের ধারণাÑ হাসান কায়েফ ডুবে যাওয়ার অর্থ ওই এলাকার ১৯৯টি বসতির সলিলসমাধি, মানুষের তৈরি হাজার হাজার গুহা, ইতিহাসগত ও ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বহু এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মুখে। প্রায় ৮০ হাজার মানুষও বসতিচ্যুত হবেন। পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হবার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে। -এএনএফ নিউজ
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: