নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৪ মে ॥ একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের ১২১ বছর বয়সী হাতেম আলী। ওই ইউনিয়নের সর্বোচ্চ বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি তিনি বলেই ধারণা স্থানীয়দের। সরকারী নির্দেশনায় বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৬৫ বছর। তবে কেন দ্বিগুণ বয়সেও তিনি পাচ্ছেন না ভাতা? তবে হাতেম আলীর বয়স্ক ভাতা না পাওয়া নিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম সাল (১৯১৩) অনুযায়ী হাতেম আলীর বর্তমান বয়স ১০৬ বছর। তবে স্থানীয় শতবর্ষী একাধিক বৃদ্ধের দেয়া তথ্যে, তার বয়স আরও বেশি। এছাড়াও হাতেম আলীর দাবি তার বয়স ১২১ বছর। হাতেম আলীর অভিযোগ, কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বয়স্ক ভাতার জন্য অনুরোধ করেছি। সাবেক ইউপি সদস্যের কাছেও অনুরোধ করেছি। তবে কেউ তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেননি। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা তাকে কার্ড দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর কোন খোঁজ নেননি নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর আনিছুর রহমান জানান, হাতেম আলীর জাতীয় পরিচয়পত্রে একটু সমস্যা ছিল। এজন্য তার কার্ড হয়নি। তবে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তার বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি। পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফুজ্জামান লিটন বলেন, সম্প্রতি একটি তালিকা অনুমোদন হয়েছে। শতবর্ষ শেষেও হাতেম আলীর বয়স্কভাতার কার্ড না হওয়ার কথাটি আগে জানলে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেত। আগামী জুন মাসে নতুন তালিকা হবে। তখন অবশ্যই হাতেম আলীর নাম বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, এখনও এ রকম বয়স্ক লোক ভাতার আওতায় পড়েনি তা আমার জানা ছিল না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাতেম আলীর বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: