অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম রফিক ॥ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের আজ ২য় দিবস। আরবী ‘রমজ’ থেকে ‘রমজান’ শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ দহন বা পোড়ানো। এ মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ নিজের সমুদয় দুনিয়াবী কামনা বাসনাকে বিসর্জন দিয়ে ষড়রিপু দমন করে মহান স্রষ্টা
আল্লাহ পাকের একনিষ্ঠ অনুগত হবার শক্তি সঞ্চয় করে। এ মাস মানুষের সমস্ত আমিত্ব, কুপ্রবৃত্তি, খোদাদ্রোহিতা ও নফসের দাসত্ব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় বলে এ মাসের নাম হয়েছে ‘রমজান’। ‘সিয়াম’ অর্থ বিরত থাকা বা পরিত্যাগ করা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় সিয়াম মানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স.) নির্দেশ মোতাবেক সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহ যাবতীয় পানাহার ও যৌন ক্রিয়াকর্ম থেকে বিরত থাকা।’ অবশ্য এটা হলো রোজা বা সিয়ামের দৈহিক দিক। আরও ব্যাপক অর্থে : যাবতীয় অবৈধ কাজ হতে বিরত থাকা ও অসৎ ভাবনা হতে মুক্ত থাকা হলো রূহের সিয়াম সাধনা। এরও উর্ধে রয়েছে সিয়ামের আরেক পর্যায়। তা হলো একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর সবকিছু হতে হৃদয়-মন মুক্ত রাখা। অন্তরে একমাত্র অন্তর্জামিকে স্মরণ করতে হবে। অন্য কিছুর স্থান থাকবে না। আল্লাহ ব্যতীত আর কিছুর প্রতি মন যাবে না। এরূপ সিয়াম পালন হলো আল্লাহর খাস বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। রোজার এ তাত্ত্বিক ব্যাপারে ইশারা করতে গিয়েই মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেনÑ যে ব্যক্তি রমজানে রোজা পালন করতে গিয়ে রোজার সীমারেখা বুঝে নেবে এবং যে কর্তব্য রোজার ভেতর পালন করা বাঞ্ছনীয় তা সুচারুরূপে পালন করে চলবে, তার এরূপ রোজা তার বিগত গুনাহের ক্ষমার কাফফারা হবে। -(বাইহাকী: ৪/৩০৪)।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: