ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী নির্বাচনের জন্য অশনী সংকেত : জাসদ

প্রকাশিত: ০৩:১৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

আগামী নির্বাচনের জন্য অশনী সংকেত : জাসদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক বিবৃতিতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হঠাৎ করে বিনা উস্কানীতে দলের লোকজন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাংচুরসহ জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলেন, বিএনপির লোকজনের এই জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুরের ঘটনা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশনী সংকেত। ঘটনা দৃষ্টে আমাদের মনে হচ্ছে অন্ধকারের শক্তি নির্বাচন বানচালের জন্য আবারও বিএনপির কাঁধে আছড় করেছে। জাসদ নেতৃদ্বয় নির্বাচন বানচালের সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বাম জোটের উদ্বেগ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, বাম জোট নির্বাচনী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় প্রার্থীর শোডাউনকে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো। সেসময় ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হিসেবে গণ্য করা হয়নি। পরবর্তীতে অন্যান্য বিরোধী দল একইভাবে শোডাউন করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে নির্বাচন কমিশন পরিপত্র প্রকাশ করেছে। এই পক্ষপাতমূলক আচরণ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আবারো জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে সেখানে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। নির্বাচনের আগে এই ধরনের সংঘর্ষ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যহত করবে বলে বাম জোট মনে করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করছে না। বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্ত করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। ওয়ার্কার্স পার্টির ৩২ জন মনোনায়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য গত দু’দিন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৩২ জন প্রার্থী মনোনায়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির ‘নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড’ এর সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মল্লিক প্রার্থীদের দলীয় মনোনায়ন পত্র প্রদান করেন। এ সময় বোর্ডের সদস্য কামরূল আহসান পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অধ্যাপক ড. শুশান্ত দাস তাকে সহায়তা করেন। মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য নূর আহমেদ বকুল, ইকবাল কবির জাহিদ, এড. মোস্তফা লুৎফল্লাহ , এ্যাড হফিজ, এ্যাড ফিরোজ আলম, আব্দুল মজিদ, ইব্রাহীম খলিল, হাজী বশির, আবুল হোসাইন, মোস্তফা আলমগীর রতন, অধ্যাপক ইয়াসিন আলী এমপি, টিপু সুলতান এমপি, গোলাম নজব পাওয়ার চৌধুরী, মাসুকুল হক মুরাদ, হিমাংশু সাহা প্রমুখ। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির ৩২ জন ও একজন সমর্থীত প্রার্থীসহ মোট ৩৩ জন অংশ নেবেন। সিপিবির সুপারিশ আসছে ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাস্তে মার্কার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে সুপারিশের মাধ্যমে নাম আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রার্থী হিসেবে যে সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নাম এসেছে, তারা হলেনÑ সিপিবি’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান (জামালপুর-২), সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন (নরসিংদী-৪), প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ (গাইবান্ধা-২), আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন (কুমিল্লা-৫) রফিকুজ্জামান লায়েক (ফরিদপুর-৩), কেন্দ্রীয় নেতা দিবালোক সিংহ (নেত্রকোণা-১), ডা. ফজলুর রহমান (নওগাঁ-৪), অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত (ময়মনসিংহ-৪), জলি তালুকদার (নেত্রকোণা-৪), আহসান হাবীব লাবলু (ঢাকা-১৩), আজহারুল ইসলাম আরজু (মানিকগঞ্জ-৩), সাজেদুল হক রুবেল (ঢাকা-১৫), অ্যাড. মন্টু ঘোষ (নায়ারণগঞ্জ-৫), মৃণাল চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১), আমিনুল ফরিদ (বগুড়া-৭), অ্যাড. সোহেল আহমেদ (ভোলা-১), লীনা চক্রবর্তী (ঢাকা-১৯) প্রমুখ। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে তৃণমূল থেকে যথা নিয়মে অর্থাৎ শাখা পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কমিটির মতামতরে ভিত্তিতে আবেদন পাঠাতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান হয়েছে।
×