স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু আশিকুর রহমান রিফাত (১২) হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত রিফাতের ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন হাসনাত এবং তার সহযোগী সাইফুল ইসলাম। নিহত রিফাত মিরপুর বায়তুল মামুর মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১০ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রিফাতকে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে থেকে অপহরণ করে তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন সহযোগী সাইফুলসহ কয়েকজন। অপহরণের পর ওইদিনই তারা রিফাতকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাভানা সিটি ভুঁইয়া এলাকায় এনে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে লাশ উদ্ধারের পর কোন পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত হিসেবে হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশের তদন্তকালে মহিউদ্দিন হাসনাত ও সাইফুলকে আটক হয়।
মানিকগঞ্জে চারজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, শিবালয়ে কিশোর টুটুল হত্যার দায়ে চার জনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জজ মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন। দ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়। দ-প্রাপ্তরা হলেন সুজন, আবুতালেব, সুরুজ ও মোক্তার হোসেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের ১৩ বছর বয়সী টুটুল খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোজের ৭ দিন পর তেওতা জমিদার বাড়ির কুয়া থেকে কিশোর টুটুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নাটোরে একজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, হেরোইন রাখার দায়ে নুরুল ইসলাম (৩৮) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই আদেশ দেন। দ-প্রাপ্ত নুরুল ইসলাম রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ধর্মঘাটা এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাথুরিয়া এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এমপি সাফারি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালায় নাটোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় একশ গ্রাম হেরোইনসহ নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: