ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

লালগ্রহে যাচ্ছে গাড়ি

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝলক

অল্প খরচে মানুষ মহাকাশ ভ্রমণ করতে পারবে। যখন ইচ্ছা তখন টিকেট কেটে রকেটে করে লালগ্রহে গিয়ে বেড়িয়ে আসবে। ভাল না লাগলে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। মার্কিন প্রযুক্তিবিদ এলন মাস্ক এমন নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু মানুষ মঙ্গলে গিয়ে চলাচল করবে কীভাবে? এমন একটা প্রশ্ন যখন উঁকি দিচ্ছে, তখন ৪৬ বছর বয়সী মাস্ক বললেন, তিনি মহাকাশে গাড়ি পাঠাচ্ছেন। সেই গাড়িতে করে মানুষ সেখানে যাতায়াত করতে পারবে। এক পর্যটকের এলন মাস্কের মেগা রকেট দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সেটার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ছবিও তুলেছেন। অন্যান্য সরঞ্জামাদির সঙ্গে রকেটের ভিতরে গাড়িও ভরা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ক্যানাভেরাল অন্তরীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে ওই রকেট। একই জায়গা থেকে স্যাটার্ন ভি এপোলো রকেট চাঁদে যাওয়ার কথা রয়েছে। স্যাটার্ন ভি হচ্ছে প্রথম মানববিহীন রকেট, যেটা আগামী মাসে উৎক্ষেপণ করা হবে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে টেসলা রোডস্টার স্পোর্টস কারভর্তি রকেটের ছবি প্রকাশ করেন এলন মাস্ক। ওই পর্যটকও স্পেসএক্স প্রযুক্তি কোম্পানির কারখানায় ঢুকে রকেটের ছবি তুলে নিয়ে আসেন। এতে দেখা যায়, একটা টেসলা রোডস্টার গাড়ি স্পেসএক্স কারাখানায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রকেটের প্রথম উড্ডয়ন উপলক্ষে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আশপাশে সাজানো। এসব কিছু উৎক্ষেপনের আগে রকেটে সন্নিবেশ করা হবে। এলন মাস্ক বলেন, ‘আমরা মহাকাশে ব্যতিক্রমী কিছু পাঠাতে চাই। মহাকাশের অস্বাভাবিক পরিবেশে একটি টেসলা রোডস্টার স্পোর্টশ কার চালানো হবে। এটা আমার খুবই পছন্দের প্রকল্প।’ মূলত সেখানকার পরিবহন সহজতর করতে দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত এলন মাস্ক স্পেসএক্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তার লক্ষ্য মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপন করা।Ñমেইল অনলাইন। সাইবেরিয়ার বিজ্ঞাননগরী ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত সরকার সাইবেরিয়ার গভীরে একটা বিজ্ঞাননগরী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। শহরের নাম দেয়া হয় এ্যাকাডেমিক সিটি। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, শিক্ষাবিদদের শহর নামে পরিচিত হয়ে ওঠা ওই শহরে কাজ করতে যাবেন হাজার হাজার বিজ্ঞানী। এ্যাকাডেমিক সিটিতে প্রথম যেসব বিজ্ঞানী কাজ করতে গিয়েছিলেন, তাদের একজন ছিলেন ভিক্টর ভারা। তিনি বলেন, সেখানে সবকিছুই ছিল আলাদা। বাড়িগুলো একেবারে জঙ্গলের মাঝখানে। চারিদিক নিঝুম। বাতাস খুব পরিষ্কার। নবেম্বরে যখন তুষার পড়তো, রাস্তাঘাট সব সাদা হয়ে যেত- একদিন-দুদিন- এক সপ্তাহ পর্যন্ত বরফ গলত না। কখনও কখনও এক মাস পর্যন্ত বরফ থাকত। ভিক্টর ভারা সেখানে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে। ১৯৬২ সাল থেকে সেখানে তিনি কাজ করেছিলেন ৪৬ বছর। ইনস্টিটিউট অব ইনঅরগ্যানিক কেমিস্ট্রি সংস্থায় রসায়ন বিজ্ঞানের গবেষক হিসেবে তিনি সেখানে কাজে যোগ দেন। ওই নতুন শহরের নাম দেয়া হয় এ্যাকাডেমিক সিটি, সেখানে বাসিন্দা তখন ২৫ হাজার, যাদের প্রায় সবাই হয় বিজ্ঞানী, নয় বিজ্ঞানী হতে যাচ্ছেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, তাদের গড় বয়স ছিল ত্রিশের নিচে। শহর গড়ে তোলা হয়েছে একেবারে সাইবেরিয়ার বরফ ঢাকা বিরানভূমির মাঝখানে, গহিন জঙ্গলে, জীবনধারণ যেখানে কঠিন। কিন্তু ভিক্টর ভারার মতে, ওই গহিন জঙ্গলের মাঝে বিজ্ঞানীদের জন্য শহর বানানোর একটা যৌক্তিকতা ছিল। তিনি বলেন, সেখানে গভীর বনজঙ্গলে ছিল প্রচুর গাছগাছালি- খনিজ সম্পদ ছিল অঢেল। এসব সম্পদের সন্ধান এবং কীভাবে সেসব আহরণ করতে হয় ব্যবহারের জন্য, তা জানা দরকার ছিল। আর সে কারণেই ওই বনভূমিতে তৈরি হয়েছিল বিজ্ঞাননগরী। তিনি বলেন, সোভিয়েতরা বিজ্ঞানের সেবায় উৎসর্গ একটা নগরী গড়ে তোলার জন্য ১৯৫৭ সালটা বেছে নিয়েছিল, তার মূল কারণ দেশে তখন বিজ্ঞানীদের একটা অভাব তৈরি হয়েছে। তার মতে, যুদ্ধের সময় ১৯২০ থেকে ৩০এর দশকে সোভিয়েতরা বিজ্ঞানচর্চায় পিছিয়ে পড়েছিল। কারণ বহু নামকরা, প্রথম সারির বিজ্ঞানী, এমনকি নোবেলবিজয়ী বিজ্ঞানীরাও হয় দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল, নয় তাদের জেলে ভরা হয়েছিল। কাজেই নতুন বিজ্ঞানী তৈরি করা জরুরী হয়ে পড়েছিল।-বিবিসি অনলাইন। মাংসাশী সরীসৃপের জীবাশ্ম হাজার হাজার বছর আগের কথা। তখন এই পৃথিবীতে মনুষ্যবসতি ছিল না। তখন জলে-স্থলে ঘুরে বেড়াত অদ্ভুত সব প্রাণীরা। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে চলে গিয়েছে তারা। বিজ্ঞানীরা কিন্তু ক্রমাগত খুঁজে চলেছেন পৃথিবীর এই সব প্রাণিকুল সম্পর্কে নানা তথ্য। বিশ্বের নানা প্রান্তে, কখনও জলে, কখনও বা স্থলে, তাদের জীবাশ্ম থেকে জানা যায় পৃথিবী সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য। এবার বিজ্ঞানীরা এক জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম পেয়েছে এন্টার্কটিকায়। বৃহদাকার এক সামুদ্রিক সরীসৃপ। বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল প্রায় পনেরো কোটি বছর আগে। তাঁরা আরও জানান, এন্টার্কটিকার প্রাচীনতম প্রাণী সম্ভবত এটিই। আন্টার্কটিকায় এই জীবাশ্ম আবিষ্কারের মূলে রয়েছেন এক দল আর্জেন্টিনীয় গবেষক। তাঁদের মতে, জুরাসিক যুগের শেষের দিকে, এক ধরনের মাংসাশী সরীসৃপ ছিল যার ৪টি পাখনা থাকত। প্রায় ১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই মাংসাশী প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম পেন্টসিওয়র। আন্টার্কটিকার যে জায়গায় ওই জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে, তাতে বেশ বিস্মিত গবেষকরা। কারণ, ওই জায়গায় যে ধরনের পাথর রয়েছে তা জীবাশ্ম সংরক্ষণের জন্য একেবারেই অনুকূল নয়।- টেকটাইমস অনলাইন।
×