খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৬৭ বছর পর শুক্রবার সকালে নিজ জন্মভিটা পরিদর্শন করে অঝোরে কেঁদেছেন। এ সময় স্পীকারের সঙ্গে তার স্ত্রী নন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও একজন ভারতীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী ব্রজমোহন কলেজ সংলগ্ন দোতলা বাড়িতে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বাবা ছিলেন বরিশাল আদালতের প্রখ্যাত আইনজীবী প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদা সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন একই আদালতের আইনজীবী। ব্রজমোহন কলেজ সংলগ্ন দোতলা বাড়িতে থাকতেন তারা। শুক্রবার সকাল দশটায় নিজ জন্মভিটা পরিদর্শনের সময় অঝোরে কেঁদেছেন স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে বিএম কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, নিজের জন্মভিটা পরিদর্শনের এ অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে শিশু বয়সে পিতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল আমাদের পুরো পরিবারকে। কলকাতায় গিয়েও একটা করুণ অবস্থার মধ্যে পড়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই বুকের ভেতর চাপা প্রত্যাশা ছিল জন্মভূমিতে আসার। আজ সে আশা পূরণ হয়েছে। একইসঙ্গে বরিশালের আতিথেয়তায় আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সু-সম্পর্ক এবং সে সম্পর্কটা বজায় থাকবে এটা আমি বিশ্বাস করি। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থ বিষয়ে সেরকম কোন মতবিরোধ আছে বলে আমার মনে হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চান বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত, বেলা ১১টায় নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কবি জীবনানন্দ দাশ লাইব্রেরি পরিদর্শন শেষে দুপুরে আকাশপথে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ত্যাগ করবেন স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: