ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

৯ উপজেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভবন তৈরির টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

৯ উপজেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভবন তৈরির টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গাজীপুর, ভোলা, ফেনী, সিরাজগঞ্জসহ মোট নয়টি উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন ও বিল্ডিং তৈরি সংক্রান্ত ই-টেন্ডারের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট, একই সঙ্গে অবকাশ শেষ হওয়ার একমাস পর হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের চাকরি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের অনুলিপি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী। অন্যদিকে বিদেশী টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়টি উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন ও বিল্ডিং তৈরি সংক্রান্ত ই-টেন্ডারের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। পৃথক পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হেসেন, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুজ্জামান কচি ও এআরএম কামরুজ্জামান কাকন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল সরদার খোরশেদ আলম। এই ৫টি টেন্ডার হলো ২৭ আগস্টের নোয়াখালী, ফেনী ও নরসিংদী জেলার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র, ২৪ আগস্টের গাজীপুরের কাপাসিয়া নার্সিং কলেজের হোস্টেল ভবন বর্ধিতকরণ, ২০ আগস্টের ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার স্বাস্থ্য উপজেলার ৫০ থেকে ১০০ শয্যা বর্ধিতকরণ, ১৭ আগস্টের রংপুর জেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উন্নীতকরণ ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (এফডব্লিউভিটিআই) ও ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উন্নীতকরণ কাজের ই-টেন্ডারের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। রিটকারীর আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, টেন্ডার সিডিউলের কাজের জন্য কোন ধরনের মূল্যই নির্ধারণ করা হয়নি। এমনকি পিডব্লিউর নিয়মও অনুসরণ করা হয়নি। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এ্যাক্ট ২০০৬-এর ১৫ ধারা অমান্য করে এই টেন্ডারগুলোর সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছিল। এখানে কাজের মূল্য তালিকা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের মূল্য তালিকা উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি এ সব কাজের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্ধারিত বিধিও অমান্য করা হয়েছে। তাই ওই সিডিউল চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সচিব, পরিকল্পনা সচিব, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট ॥ বিদেশী টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন। পরে আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ২০০৬ সালের ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইনের ১৯ ধারার ১৩ উপধারায় বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশী কোন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। এতে দেশীয় চ্যানেলেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ রিটে তথ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বিটিভির মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিকে বিবাদী করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগপ্রাপ্তদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ ॥ কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের চাকরি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভুক্তভোগী মো. সহিদুল ইসলাম, কামাল সরকার, জাহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের করা রিট আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ২২ মার্চ হাইকোর্ট রায় দিলেও এ নির্দেশনা সম্বলিত ১০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনকারী ১০ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ রায় দিয়েছেন বলে জানান রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।এ রায়ে সারাদেশে কর্মরত সাড়ে ১৩ হাজার ব্যক্তির রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পথ সুগম হলো বলে জানান রিটকারীদের আইনজীবী।
×