ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামে গ্রামে সাপ আতঙ্ক ॥ আবারও মিলল ৩৮ গোখরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৫ জুলাই ২০১৭

গ্রামে গ্রামে সাপ আতঙ্ক ॥ আবারও মিলল ৩৮ গোখরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক বিষাক্ত গোখরা সাপের বাচ্চা বেরিয়ে আসায় এক সপ্তাহ ধরে গ্রামে গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সর্বশেষ জেলার বাগমারায় পাওয়া গেছে ৫৫ ডিমসহ ২৬ গোখরাছানা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের বাসুবোয়ালিয়া এলাকার কৃষক কফের আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এসব গোখরা। এর মধ্যে একটি মা গোখরাও রয়েছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কফের আলীর ছেলে শাহিন ইসলাম বাড়ির পাশে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান। টের পেয়ে বাড়ির লোকজন গিয়ে সেটি মেরে ফেলেন। এর অদূরে আরও দুটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। সেগুলো মারার চেষ্টা করলে বাড়ির দেয়ালের পাশের গর্তে ঢুকে পড়ে। ওই সময় গর্তের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করে স্থানীয় সাপুড়ে শরিফুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রাতে বাড়িজুড়ে ইঁদুরের গর্ত খোঁড়াখুঁড়ি চলে। শোবার ঘরের মেঝের গর্তে পাওয়া যায় মা গোখরাসহ ২৫টি বাচ্চা। সেখানে মেলে ৫৫টি ডিম। পরে মা গোখরাটি মাটির হাঁড়িতে পুরে নিয়ে যান সাপুড়ে। মেরে ফেলা হয় বাচ্চা গোখরাগুলো। মাটিচাপা দেয়া হয় ৫৫টি ডিম। এদিকে ওইদিনই পবার এক বাড়ি থেকে মাসহ ১৭টি বাচ্চা উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত সব সাপই নিয়ে গেছে ‘স্নেক রেসকিউ এ্যান্ড কনজারভেশন সেন্টার’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশজুড়ে সাপ সুরক্ষা ও জনসচেতনতায় কাজ করছে রাজশাহী ভিত্তিক এ সংগঠনটি। এর আগে ৪ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত রাজশাহী নগরী, তানোর, দুর্গাপুর ও মোহনপুরে পাওয়া গেছে ২১৮ গোখরা। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩৩টি ডিম। এসবই নিধন করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, মুদি দোকান থেকে ১২টি বিষাক্ত পদ্মগোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া উপজেলার কাজীরহাট বাজারের নিজাম স্টোর থেকে সাপগুলো উদ্ধার হয়। পরে সেগুলো মেরে ফেলা হয়। নিজাম স্টোরের মালিক নিজাম আলী জানান, রাতে তার দোকানের বিস্কুটের বাক্সের মধ্যে একটি পদ্মগোখরা সাপ দেখতে পান। পরে একে একে দোকানের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১২টি সাপ বেরিয়ে আসে। এসময় ভয়ে তিনিসহ ক্রেতারা মিলে সাপগুলো মেরে ফেলা হয়। এর আগে সাতক্ষীরায় বসতবাড়ি থেকে ৫৬টি গোখরা মারা হয়।
×