স্ত্রীর কিডনির পাথর অপসারণের যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়ার কথা চিন্তা করে চীনের জিয়াংশি প্রদেশের এক কৃষক অভিনব বিছানা তৈরি করেছে, যা খুব সহজে কিডনির পাথর অপসারণে সহায়ক।
৫২ বছর বয়সী ধানচাষী ঝু কিংহুয়া ১৯৯৩ সাল থেকে তার স্ত্রীর কিডনির পাথর অপসারণের পদ্ধতি নিয়ে ভাবছিলেন। ওই বছর তার স্ত্রীর কিডনি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে একটি কিডনি ফেলে দিতে হয় এবং ডান কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা তাদের বলেন, মাত্র একটি কিডনি অবশিষ্ট থাকায় সার্জারির পথ বেছে নেয়া হবে খুবই বিপজ্জনক। তাই তারা পাথরগুলো বড় হওয়ার আগেই প্রাকৃতিক উপায়ে অপসারণের পরামর্শ দেন। ঝু বলেন, তিনি তার আইডিয়া পান ১৯৯৭ সালে। যখন চিকিৎসকরা তার স্ত্রীকে কিডনির পাথর অপসারণে প্রতিদিন কয়েক মিনিট ধরে দেহের উপরিভাগ নিচু করে রাখতে বলেন। এ পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ শুরু করেন ঝু। তিনি তার স্বপ্নের বিছানা তৈরির পরিকল্পনা করতে এক মাস সময় নেন এবং ১৪৫ ডলার ব্যয় করেন। বিছানাটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে এটি ৩৬০ ডিগ্রী উল্টে যেতে পারে এবং রোগীর উপরিভাগকে কোনাকুনিভাবে নিচু করে রাখতে পারে। এতে কম্পন সৃষ্টির ব্যবস্থাও রাখা হয়। ঝু বলেন, মাত্র পাঁচ দিন ১০ মিনিট করে এ বিছানায় শুয়ে তার স্ত্রী কিডনি থেকে পাথর অপসারণে সক্ষম হন। ঝুর এ আবিষ্কারের কথা তার গ্রামজুড়ে যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। লোকেরা বিছানাটি তাদের কাছে বিক্রি করার জন্য অথবা নতুন বিছানা তৈরি করে দেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করে। তিনি তাদের আবদারে সাড়া দিতে পারেননি। কারণ মেডিক্যাল সরঞ্জাম বিক্রি করতে তার কোন লাইসেন্স ছিল না। তবে তিনি কিডনি অপসারণে তার বিছানাকে বিনামূল্যে রোগীদের দিতে চান। চীনা গণমাধ্যমের খবর, অন্তত তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, ঝুর বিছানার মাধ্যমে তারা খুব সহজে কিডনির পাথর অপসারণ করেছে। ইতোমধ্যে কৃষক ঝু তার অভিনব আবিষ্কারের পেটেন্ট নিশ্চিত করে ফেলেন। তিনি এটি ব্যাপক আকারে বিক্রি করতে এবং মানুষের কিডনির পাথরজনিত যন্ত্রণা লাঘবে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন। -সাংহাই ইস্ট
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: