স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান সন্ত্রাসী কর্মকা- ও গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সব ধর্মের মানুষ। সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে ধর্মীয় সংগঠনগুলোও।
সোচ্চার হয়ে ওঠে তাদের কণ্ঠ। গুপ্তহত্যাকে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে শাস্তি দাবি করা হয় জঙ্গীগোষ্ঠীর। এ সময় তারা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। রবিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন’ কর্মসূচী থেকে এ ঘোষণা আসে। ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে জঙ্গগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও, উপদেষ্টা হিউবার্ট গমেজ, অর্থসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, ঢাকা খ্রীস্টান ক্রেডিট ইউনিয়নের সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও বলেন, সম্প্রতি দেশে টার্গেট কিলিং শুরু হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সকলের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে। জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাজের সবাই যাতে এগিয়ে আসে সে লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে সচতেনতা বৃদ্ধির জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
চলমান গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তথাকথিত খেলাফত সৃষ্টির নামে যারা এসব করছে তাদের বলতে চাই তা বন্ধ করতে হবে। কোন ধর্মই মানুষ হত্যাকে সমর্থন করে না। একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিশেষ উদ্দেশ্যে যারা প্রগতিশীল চিন্তা করে তাদের হত্যা করার জন্য হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। হাজার বছর ধরে এখানে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে আসছে। সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশে কোন সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প বপন করা চলবে না।
নির্মল রোজারিও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমাদের ধর্মেও মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। হিন্দু ধর্মেও। কোন ধর্মই মানুষ হত্যাকে সমর্থন করে না। গতকাল লক্ষ্যাধিক আলেম-ওলেমা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন। তারা জঙ্গীবাদকে হারাম বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রত্যেক ধর্মেই মানুষ হত্যাকে পাপ বলা হয়েছে। আসুন সবাই মিলে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। যারা টার্গেট কিলিং করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। শুধু সরকার বা পুলিশের একার পক্ষে নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব নয়, জনগণকে সচেতন হতে হবে। মানুষ হত্যার বিপক্ষে সোচ্চার হতে হবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা হিউবার্ট গমেজ বলেন, আমরা এ দেশে গুপ্তহত্যাকে মেনে নিতে পারি না, মেনেও নিব না। এই গুপ্তহত্যাকে ধিক্কার জানাই, গুপ্তহত্যাকরীদের নিন্দা জানাই। সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের পাশেই আছি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: