ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সব উপজেলায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয় হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

সব উপজেলায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয় হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সকল উপজেলায় হচ্ছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কার্যালয়। শনিবার রাজধানীতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির জাতীয় সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বর্তমানে জেলাভিত্তিক শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষা অবকাঠামোর নির্মাণকালীন তদারকি অত্যন্ত কঠিন। তাই উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কার্যালয় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির জাতীয় সম্মেলন ২০১৫ ও ২১তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির আমিনুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এ এস মাহমুদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা প্রমুখ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, বেতন মওকুফ, বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার সরবরাহের মতো দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের নানা কর্মসূচীর ফলে সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য কøাসরুমের ব্যবস্থা করতে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে জেলাভিত্তিক শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষা অবকাঠামোর নির্মাণকালীন তদারকি করা কঠিন। তাই উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কার্যালয় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই দেশের সকল উপজেলায় করা হবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কার্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী অধিদফতরের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে উন্নীত করায় কেবল কাজের পরিধি বেড়েছে তা নয়, ভাবমূর্তিরও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। নির্মাণ কাজে দৃশ্যমান স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এ ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকাঠামো গঠন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান কাঠামোগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, নির্মাণ/ পুনঃনির্মাণ, উন্নয়ন, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে প্রতিটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা, নতুন সার্ভার মেশিন স্থাপন, সুষম নেটওয়ার্ক সিস্টেম প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশলকে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাপনার এক চমৎকার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান কোয়ার্টার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের শিক্ষা ভবনে। আহমেদাবাদে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এমবিএ পড়ার সুযোগ ॥ ভারতের আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এমবিএ পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। বিশ্বের খ্যাতনামা বিজনেস স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম আহমেদাবাদের আইআইএম। শনিবার রাজধানীর ইন্দিরাগান্ধী কালচারাল সেন্টারে ভারতের শিক্ষাবিদরা এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী ছাত্রদের কাছে সেখানে পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধার নানা বিষয় তুলে ধরেন। সভায় ভারতের শিক্ষাবিদদের মধ্যে ছিলেন আহমেদাবাদ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এর ডিন (প্রোগ্রামস) অধ্যাপক অজয় পা-ে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক শৈলেশ গান্ধী ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (কমিউনিকেশন্স) অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার দে। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি (শিক্ষা) জিষ্ণু প্রসূন মুখার্জি, শিক্ষার এ্যাটাশে প্রমোদ কুমার মহাজন প্রমুখ। তারা বাংলাদেশের ছাত্রদের ভিসাসহ সব ধরনের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই আহমেদাবাদে পড়াশোনার নানা খুঁটিনাটি বিষয় প্রশ্ন করে জেনে নেন। আহমেদাবাদ আইআইএম-এ ম্যানেজমেন্ট (এমবিএ) পড়ার মেয়াদ ফুল টাইম রেসিডেন্সিয়াল প্রোগ্রাম দুই বছর। তবে অভিজ্ঞদের স্বল্পকালীন কোর্সের অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে বলে তারা জানান। পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভারতে ভাল চাকরির সুযোগ রয়েছে।
×