স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ আরএসও অর্থায়নে পরিচালিত একাধিক মাদ্রাসাসহ অন্তত ২৫টি জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করে তাদের ফান্ড মজবুত করছে জামায়াত-শিবির। আরএসও জঙ্গীদের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা এতিম খানার নামে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তিন পরিচালকের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের দারুণ সখ্য রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরএসওর সাবেক কমান্ডার রোহিঙ্গা জঙ্গী হাফেজ ছলাহুল ইসলাম, মৌলভী আবু ছালেহ এবং মৌলানা মোঃ আনিস আওয়ামী লীগের কতিপয় স্থানীয় নেতার ছত্রছায়ায় থেকে গোপনে জামায়াত-বিএনপির আস্থাভাজন হয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে। অসহায়ত্বের দোহাই দিয়ে রোহিঙ্গাদের নামে বিদেশী অর্থ এনে আরএসও জঙ্গীরা তা তুলে দিচ্ছে জামায়াত-বিএনপি নেতাদের হাতে। মুক্তমনা লেখক, ব্লগারদের ওপর হামলা, প্রকাশক, প্রকৌশলী, পুলিশ সদস্য, বিদেশী নাগরিকসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকা- এবং হামলার ঘটনা ছাড়াও দেশে নাশকতা সৃষ্টির কাজে জামায়াত-শিবির ব্যয় করছে ওই টাকা। কক্সবাজারে সেবামূলক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন মালিক সিন্ডিকেট, হোটেল, শপিংমল, হাসপাতাল, ডেভেলপার কোম্পানি ও বহু সমিতি রয়েছে জামায়াতীদের। ইতোপূর্বে কক্সবাজারে ২২টি প্রতিষ্ঠান থেকে জামায়াত-শিবিরকে নিয়মিত চাঁদা দিচ্ছে এবং ওসব প্রতিষ্ঠানে বসে নাশকতাসহ বিভিন্ন অপকর্মের ছক কষছে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছিল জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। এ সময় গ্রেফতারের দাবি উঠেছিল এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। চাঁদা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে বহু অপরাধী ক্যাডারদের আটক করেছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত ৫৬১টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি নির্দেশনায় ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকা-ের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের বিষয়ও তদন্ত করার। সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।