স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় আলোচিত শিশু রাকিব হত্যা মামলায় সোমবার রাকিবের মা ও ছোট বোনসহ ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ নিয়ে গত দু’দিনে রাকিব হত্যা মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ মঙ্গলবার প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, খুলনার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাকিব হত্যা মামলায় ৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্য দিয়েছেন রাকিবের মা লাকী বেগম, খালা রেক্সোনা অক্তার রুবি, রাকিবের ছোট বোন রিমি, সেলিনা রহমান, শহীদুল শেখ, দুর্গাপদ বাউনিয়া, খাদিজা বেগম ও মোঃ সুজন। এদের মধ্যে সেলিনা রহমান হলেন যে বাড়িতে শরীফ মোটরস নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেই বাড়ির মালিক, শহীদুল শিশু রাকিবের ওপর নির্যাতনের খবর প্রথম তার বাড়িতে দেয়, দুর্গাপদ বেসরকারী যে হাসপাতালে রাকিবকে নেয়া হয়েছিল সেই হাসপাতালের কর্মচারী, খাদিজা ও সুজন স্থানীয় সাক্ষী। আজ মঙ্গলবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
এক কর্মস্থল ছেড়ে অন্য স্থানে যোগ দেয়ায় শিশু রাকিবকে গত ৩ আগস্ট বিকেলে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেয়া কম্প্রেসার মেশিনের পাইপের মুখ মলদ্বারে ঢুকিয়ে পেটে হাওয়া দেয়ায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা টুটপাড়া কবরখানা এলাকার মোটরসাইকেল গ্যারেজ শরীফ মোটর্সের মালিক শরীফ ও তার কথিত চাচা মিন্টু মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে শরীফের মা বিউটি বেগমকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনার পরের দিন নিহত রাকিবের বাবা নুরুল আলম বাদী হয়ে ওই তিন জনকে আসামি করে খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ গত ২৫ আগস্ট এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এর আগে আসামি তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচারকার্য শুরুর জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ৫ অক্টোবর আসামি শরীফ, মিন্টু মিয়া ও বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়।