স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সোমবার যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ধর্ষণের আলামত প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ওই ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান তিন আসামিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, ধর্ষকদের বিচার দাবিতে সোমবার চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা চৌগাছা বাজারে মানববন্ধন করেছে।
রবিবার রাতে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় আটক তিনজনকে রবিবার রাতে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। থানার এসআই শরীফ হোসেন দাবি করেন, আটকের সময় তারা গণপিটুনিতে আহত হয়। আটক তিনজনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই হাসপাতালে সোমবার সকালে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক রিনা রানী ঘোষ জানান, ধর্ষণের আলামত প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আলমগীর কবীর জানান, ৪৮ ঘণ্টা পর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হবে। প্রসঙ্গত রবিবার বিকেলে চৌগাছা শহরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই স্কুলছাত্রী।
নারায়ণগঞ্জে হত্যার দায়ে চার জনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ৫ অক্টোবর ॥ বন্দর উপজেলা প্রবাস ফেরত উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আদালত মৃত্যুদ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকার করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদ- দেয় আদালত এবং মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি সুজনকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলো- বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার আবুল কাশেম ও তার ছেলে সুজন, ওই এলাকার মৃত নুরীর মিয়ার ছেলে কালু ও তার ছেলে আজমান।
রায় ঘোষণাকালে দ-প্রাপ্ত ৪ আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত ছিল। জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৪ জুন বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাস ফেরত উজ্জ্বল মিয়ার কাছ থেকে সিগারেটের আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহৃত একটি লাইটার ধার নেয় সুজন।
দু’দিন সুজনের কাছ থেকে লাইটার ফেরত চায় উজ্জ্বল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সুজন, কালু, আজমান, আবুল কাশেমসহ অন্য আসামিরা তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।