ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হামলার শিকার প্রতিভা সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রীডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহলের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ৯ মে ২০২৪; আপডেট: ১৭:১৭, ১০ মে ২০২৪

হামলার শিকার প্রতিভা সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রীডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহলের চেয়ারম্যান

জিডির কপি ও মাদকবিরোধী সংগঠন প্রতিভা ফাউন্ডেশন লোগো

  • নিরাপত্তা চেয়ে ৬টি জিডি করলেও প্রতিনিয়িত হুমকি দিচ্ছে মাদক কারবারিরা 

বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক মাদকবিরোধী সংগঠন প্রতিভা সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রীডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহল । সরকারিভাবে অনুমোদিত এই সংগঠন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছে। তবে এসব কাজ করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের হামলা এবং হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন শাহনেওয়াজ। একবার অপহরণের শিকার হওয়ার পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছিলেন। এসব চক্রের প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বারবার আবেদনও করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে কাগজে-কলমে নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না। 

মাদক চোরাকারবারিদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকির কারণে মিরপুরের কাফরুল থানায় এরই মধ্যে ৬টি জিডি করেছেন মো. আনোয়ার। 

এ বিষয়ে কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, বিষয়টি এ মুহূর্তে আমার নলেজে নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানাব। 
প্রতিভা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অনুমোদিত। এর চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও স্মারক ইস্যু করেছে। এসব স্মারকে চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

এদিকে করোনার সময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফাউন্ডেশনের প্রায় ১ কোটি স্টিকার ও সত্তর লাখ লিফলেটের আঠা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আরও ৪০ লাখ মাদকবিরোধী লিফলেট ও স্টিকার ফেরত আসে। এতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে আর্থিক সহায়তা পেতে ২০২১ সালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করে। কমিশনার বিষয়টির গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দায়িত্বশীলদের নিয়ে সভা করে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে শিক্ষা সচিব বরাবর চিঠি দেয়। কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠানটি কোনো আর্থিক সাহায্য পায়নি।

মো. আনোয়ার বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাদক চোরাকারবারি রয়েছে। মাদক সেবনকারীরা মাদক ব্যবসায়ীতে পরিণত হচ্ছে। আমার কাজেই ঝুঁঁকির মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। আমি বিভিন্ন সময় মাদক চোরাকারবারিদের টার্গেটে পরিণত হয়েছি। আমাকে বিভিন্ন সময় ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়। এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ফাউন্ডেশনের কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ছাপাখানাগুলো পাওনার জন্য চাপ দিচ্ছে। দেশব্যাপী সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা মাদকবিরোধী লিফলেট ও স্টিকার বিতরণের জন্য স্মারক ইস্যু করলেও আর্থিক কারণে আমরা যথাযথভাবে কার্যক্রম করতে পারছি না। প্রাণনাশের শঙ্কার পাশাপাশি আর্থিক কারণেও সংগঠনের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, তার দায়ের করা জিডি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 
 

ফজলু

×