ছবি: সংগৃহীত।
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্বেগ বাড়ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১০ দিনের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই সরাসরি হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখন যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে আনতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৩ জুন তেহরানে হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ বিষয়ে পূর্বে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। হামলার পরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঘোষণা দেন—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে মহাসচিব অন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এই অঞ্চলে নতুন করে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।”
হামলার পর ইরানের পার্লামেন্টে হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাস হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রণালী বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানিবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে চীনের ওপরও।
এজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, “চীন যদি ইরানকে শান্ত রাখার উদ্যোগ না নেয়, তাহলে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বেইজিংয়ের এখনই এগিয়ে আসা উচিত।”
রুবিও আরও বলেন, “হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে ইরান নিজেই নিজের অর্থনৈতিক পথ রুদ্ধ করবে।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বর্তমানে তুরস্ক সফরে আছেন এবং ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি-এর বিশেষ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। সেখানে তিনি মুসলিম বিশ্বের যৌথ প্রতিক্রিয়া গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া ২৪ জুন তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। এর আগে তিনি জানান, “আমি কখনো নিজের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষ করব না।”
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান আবারও ইসরায়েল লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে। সোমবার সকালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানায়, উত্তর ইসরায়েল ও অধিকৃত জেরুজালেমের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নুসরাত
