ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জর্ডানে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো

প্রকাশিত: ১৯:০১, ৪ মে ২০২৪

জর্ডানে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো

বাংলাদেশ দূতাবাস একটি অনন্য ফ্যাশন শো।

মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে জর্ডানে গার্মেন্ট খাতে কর্মরত বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণে আম্মানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস একটি অনন্য ফ্যাশন শো’র আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশি ফ্যাশন আইকন বিবি রাসেলের পরিচালনায় আম্মানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্ডানের প্রধানমন্ত্রীবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ওয়াজিহ তাইয়েব আজাইজেহ। এছাড়া, আম্মানস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রটোকল প্রধানসহ জর্ডানের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন। পোশাক শিল্প, ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইটি এবং জাহাজ নির্মাণের মতো বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব বাজারে একটি বিশিষ্ট অবস্থান দখল করেছে এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, গার্মেন্ট শিল্প থেকে মেয়েদের বিবি রাসেলের মডেল হিসেবে এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ ফ্যাশন শো’তে সম্পৃক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। বাংলাদেশের মানুষের জীবন, উৎসব, আধ্যাত্মিকতা, পোশাক এবং সামাজিক সম্প্রীতি ফ্যাশন শো’তে প্রতিফলিত হয়েছে।

কিংবদন্তি বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলের ‘দ্য ম্যাজিকাল থ্রেডস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামের ফ্যাশন শো’তে অতিথিরা মুগ্ধ হন। শো’তে মডেল হিসেবে ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও জর্ডানের নারী পোশাক শ্রমিকরা।

তিনি বলেন, পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে উঠে আসা নারী পোশাক শ্রমিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতির চাবিকাঠি বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

 

এম হাসান

×