ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রোজায় ত্বকের যত্ন

ডা. জাহেদ পারভেজ

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ২৬ মার্চ ২০২৪

রোজায় ত্বকের যত্ন

রমজানের শুরুতেই ত্বকের যত্ন

শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখতেই হবে তবে রমজানের শুরুতেই ত্বকের যত্ন নিলে ভালো থাকা যায়। 
১ টেবিল চামচ পাকা পেঁপে ভালোভাবে চটকে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পানিশূন্যতা ত্বকে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। তাই রোজাদারদের এ শূন্যতা পূরণে সন্ধ্যার পরের সময় যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সেহরি ও ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। পাশাপাশি জলীয় অংশ প্রচুর আছে এমন ফলমূল, ফলের রস, ডাব খাওয়া যায়।

সতর্কতা 

ভাজাপোড়া থেকে বিরত থাকলে ভালো। কারণ, এতে শরীর আরও বেশি পানিশূন্য হয়। তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে বরং ত্বক সতেজ রাখতে সিদ্ধ খাবার, ভিটামিন ‘এ’ ‘ই’ যুক্ত খাবার যেমন গাজর, টমেটো, ব্রকলি খাওয়া যেতে পার। 
গরমে শরীরে কিছু সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামে ঘামাচি, সামার বয়েল বা ফোড়ার মতো বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পাউডার ব্যবহার করা হয়। শরীর শুষ্ক রাখতে ওলেন্টিয়ন কম্পোজিশন, কিউটি কুরা নামে বিভিন্ন পাউডার ব্যবহার করা যায়।
গরমকালে সব সময় সুতি জামাকাপড় পরা উচিত। এ সময় খুব প্রয়োজন ছাড়া ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলোকে ব্লক করার দরকার নেই। তাই বেশি প্রসাধনী ব্যবহার না করা ভালো। যতটুকু না হলেই নয়, ততটুকু করা যেতে পারে। অতিরিক্ত মেকআপে মুখে ব্রণসহ বিভিন্ন সমস্যা আরও বাড়ে। এ সময় নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোগেন মেছতা সমস্যায়। গরমে এর প্রভাব আরও বেশি হয়। অনেকে এটি প্রতিকারে বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ধরনের ক্রিম ব্যবহারে সাময়িকভাবে সুন্দর লাগলেও, এটি আসলে ক্ষতিকর। মেছতা থাকুক বা না থাকুক, ত্বকের যতেœ অবশ্যই সান ব্লক ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল সান ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে।

রোজায় ত্বকের যতেœ টিপস

গরমে বা রমজানে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে ১ টেবিল চামচ পাকা পেঁপে ভালোভাবে চটকে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও প্রয়োজনীয় চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদামবাটা, ঠান্ডা দুধ ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক, তাঁরা টমেটো, কলা, শসা একসঙ্গে মিলিয়ে প্যাক তৈরি করে ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।
ত্বক শুষ্ক হলে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এতে শুষ্কতা রোধের পাশাপাশি ত্বক সজিব হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
পানিশূন্যতায় অনেকের ঠোঁট ফাটে। তারা রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ভালো করে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাবেন। দিনে চার থেকে পাঁচবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই দরকার। তাই সময়টা বের করে নিন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ সার্জন বিভাগ,
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার : ডা. জাহেদস হেয়ার অ্যান্ড স্কিনিক সেন্টার, পান্থপথ মোড়, পুলিশ বক্সের পাশে, ১৫২/১ সাবামুন টাওয়ার, ঢাকা।
০১৫৬৭-৮৪৫-৪১৯

×