ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হকের চিরবিদায়

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১১ এপ্রিল ২০২১

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হকের চিরবিদায়

অনলাইন ডেস্ক ॥ একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক মারা গেছেন। রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মিতা হক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন; চারদিন আগে করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল । শনিবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আরও অবনতি ঘটলে রাতে আইসিইউতে ভেল্টিনেশনে রাখা হয়েছিল। সকালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ১৯৬৩ সালে জন্ম হওয়া শিল্পী মিতা বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করেছেন। তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্র সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। রবিবার তাকে কেরাণীগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে; এখনও দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়নি।
×