ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বস টু’ ও ‘নবাব’ মুক্তি না পেলে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ২০ জুন ২০১৭

‘বস টু’ ও ‘নবাব’ মুক্তি না পেলে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র এই নতুন নয়। ‘অবিচার’সহ বেশকিছু চলচ্চিত্র ইতোপূর্বে বাংলাদেশে হয়েছে। আমার নাম ভূমিকায় অভিনীত ‘নবাব’ চলচ্চিত্রটি প্রিভিউ কমিটি দেখার পর আশা করেছিলাম জাজ মাল্টিমিডিয়ার আজিজ সাহেবকে একটা থ্যাঙ্কস লেটার দেবেন। সঠিক নীতিমালা মেনেই চলচ্চিত্রের কাজ হয়েছে। চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে আন্তর্জাতিকভাবে হাইলাইট করা হয়েছে। থ্যাঙ্কস তো দূরের কথা কিভাবে চলচ্চিত্রটি আটকানো যায় এর জন্য সবাই উঠেপড়ে লেগেছেন। যারা আন্দোলন করছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, এর আগে যখন কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছিলাম সেই আন্দোলনটা ছিল ভারতীয় হিন্দি-উর্দু চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে, যৌথ প্রযোজনার বাংলা চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে নয়। আন্দোলন করুক আর যাই করুক না কেন সবাই ব্যক্তিস্বার্থে করছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ করব আমরা যারা ভাল কাজ করছি তারা যেন নির্বিঘেœ কাজ করতে পারি, সেই সুযোগ করে দেয়ার’। রাজধানীর এক রেস্তরাঁয় রবিবার সন্ধ্যায় প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট সমিতি, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী ফোরাম ও সিনেমা হল মালিক একত্র সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে দেশীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। এতে ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ চলচ্চিত্র দুটির দ্রুত মুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলেন সবাই। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেনÑ চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ, অভিনেতা শাকিব খান, অমিত হাসান, ফেরদৌস, আরিফিন শুভ, শিবাসানু, পিয়া বিপাশা, মিষ্টি জান্নাত, জলি, বিপাশা কবির, ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, আবদুল আজিজসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা-পরিচালক নাদের চৌধুরী। ফেরদৌস বলেন, আমি সবসময়ই যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকব। অমিত হাসান বলেন, সরকারী নিয়ম মেনেই চলচ্চিত্রগুলো নির্মিত হয়েছে, তারপরও কেন এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। এদিকে বুকিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, চলচ্চিত্র দুটি (বস-টু ও নবাব) মুক্তি না পেলে সারা দেশের হল মালিকরা তুমুল আন্দোলন করবে । যারা এই দুটির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তাদের চলচ্চিত্র হলে চালানো হবে না। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, যাদের কাজ নেই তারাই আন্দোলন করছে। আমরা আস্তে আস্তে কলকাতায় আমাদের শিল্পীদের ঢোকানোর চেষ্টা করছি। আমাদের সিনেমা হল বাঁচাতে হলে বড় বাজেটের চলচ্চিত্র বানাতে হবে। দর্শক ভাল মানের চলচ্চিত্র ঈদে দেখতে চায়। আর ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ বেশ বড় বাজেটের ভাল মানের চলচ্চিত্র। সিনেমা হল মালিকরাও এই চলচ্চিত্রগুলো সিনেমা হলে চালাতে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘বস-টু’ ও ‘নবাব’ মুক্তি না পেলে জাজের অধীনের হলগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, এ চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি না পেলে আমাদের সিনেমা হলগুলো ঈদে বন্ধ করে রাখব। কারণ, এ চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক ইনভলবমেন্ট আছে। আমরা ভাল কনটেন্টের পক্ষে। ঈদে দর্শক এ ধরনের চলচ্চিত্রই দেখতে চায়।
×