ব্রিফ এনকাউন্টার
কিছু প্রেম ছোটগল্পের মতো। শেষ, তবু শেষ নয়। এই অসম্পূর্ণতাই যেন সার্থকতা! ঠিক এরকমই এক গল্প ‘ব্রিফ এনকাউন্টার’-এর। ট্রেন যাত্রায় এক নিষিদ্ধ আকর্ষণের টানে যে প্রেমের শুরু, তা শেষও হয়ে যায় ট্রেনের হুইসেলের সঙ্গে সঙ্গে। এতে প্রেমিক-যুগলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সিলিয়া জনসন এবং ট্রেভর হাওয়ার্ড। ক্যামেরার পেছনে ছিলেন ডেভিড লিন।
কাসাব্লাঙ্কা
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন রোমান্টিক সিনেমার তালিকা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে হামফ্রে বোগার্ট এবং ইনগ্রিড বার্গম্যান অভিনীত এই সিনেমাটি না রাখলে। কালোত্তীর্ণ সিনেমার সব রসদই আছে এতে। আর ‘বড় প্রেম কেবল কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়’ এটিকেও সত্য প্রমাণ করার মধ্য দিয়ে ‘কাসাব্লাঙ্কা’ হয়ে উঠেছে অনন্য।
বিফোর সানরাইজ, বিফোর সানসেট, বিফোর মিডনাইট
বিশ্ববাসী রিচার্ড লিঙ্কলেটারকে চিনেছে তার রোমান্টিক সিনেমাত্রয়ী ‘বিফোর সানরাইজ’, ‘বিফোর সানসেট’ এবং ‘বিফোর মিডনাইট’ দিয়ে।
তিনটি সিনেমারই কেন্দ্রীয় চরিত্র সেলিন এবং জেসি। ইথান হক এবং জুলি ডেপলি অভিনীত এই দুই চরিত্রের পরিচয়, প্রণয়, বিচ্ছেদ এবং সবশেষে পুনর্মিলন- এমনই সরলরৈখিক গল্প নিয়ে এগিয়েছে ছবি তিনটির গল্প।
ব্রেথলেস
১৯৬০ সাল। হলিউডের স্বর্ণযুগের সূর্য তখন অস্তগামী। ফ্রান্সে ঠিক তখনই ‘ব্রেথলেস’ দিয়ে চলচ্চিত্রের ভাষা বদলে ফেললেন নির্মাতা জ্যঁ-লুক গদার। জন্ম নিল নতুন এক চলচ্চিত্রধারার, যা আজ নিউ ওয়েভ সিনেমা নামে পরিচিত। সিনেমাটির গল্প এক ছিঁচকে চোরকে নিয়ে, যে দুর্ঘটনাবশত এক পুলিশকে মেরে ফেলে। এর মধ্যে সে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এক মার্কিন তরুণীর সঙ্গে। শাস্তির ভয়ে তাকে নিয়ে ইতালি পালাতে চায় সে।
ইন দ্য মুড ফর লাভ
স্বামী বিশ্বাসঘাতকতা করছে স্ত্রীর সঙ্গে। প্রতারিত এই নারীর সমব্যথী তারই মতো আরেক পুরুষ, যে স্ত্রীর ছলনার শিকার। নিজেদের দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে নিতে একসময় পরস্পরকে ভালবেসে ফেলে তারা। হংকং-এর নির্মাতা ওং কার-ওয়াইয়ের ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’-এর গল্প এমনই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রধান দুই চরিত্রে টনি লিওয়াং এবং ম্যাগি চিওয়াং-এর অভিনয়।
দ্য এ্যাপার্টমেন্ট
‘সাম লাইক ইট হট’ মুক্তির পরের বছরই নির্মাতা বিলি ওয়াইল্ডার দর্শকদের উপহার দিলেন আরেকটি কালজয়ী কমেডি ‘দ্য এ্যাপার্টমেন্ট’। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র বাড ব্যাক্সটার নামে এক কেরানি, যে নিজের এ্যাপার্টমেন্টটিকে অফিসের সহকর্মীদের যৌনক্রিয়ার জন্য ভাড়া দিয়ে থাকে। একদিন নিজের ঐ এ্যাপার্টমেন্টই সে আবিষ্কার করে তার স্বপ্নকন্যাকে, যে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে তাদেরই পরিচিত একজনকে।
হ্যানা এ্যান্ড হার সিস্টার্স
‘ম্যানহ্যাটান’খ্যাত নির্মাতা উডি এ্যালেনের সবচেয়ে বড় হিট ১৯৮৬ সালের ‘হ্যানা এ্যান্ড হার সিস্টার্স’। এতে মিয়া ফ্যারো অভিনয় করেছেন হ্যানা নামের এক গৃহবধূর চরিত্রে, যার স্বামী এলিয়ট প্রেমে পড়ে তারই বোন লিয়ের। ওদিকে একই সময়ে হ্যানার আরেক বোন হলির সঙ্গে প্রেমে মগ্ন হ্যানারই সাবেক স্বামী মিকি।
এটারনাল সানশাইন অব আ স্পটলেস মাইন্ড
ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল ছবি ‘টাইটানিক’ হলেও চলচ্চিত্রপ্রেমীরা তাকে সবসময়ই মনে রাখবেন ‘এটারনাল সানশাইন অব আ স্পটলেস মাইন্ড’ ছবির নীল চুলের স্বাধীনচেতা মেয়ে ক্লেমেন্টাইন ক্রসিনস্কি হিসেবেই।
আ রুম উইথ আ ভিউ
কদিন বাদেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছে লুসি। বোন শার্লটকে নিয়ে তাই সে বেড়াতে এসেছে ইতালির ফ্লোরেন্সে। উঠল হোটেলে। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখে সেখানে নেই কোন জানালা। এগিয়ে আসে মিস্টার এমারসন এবং তার তরুণ ছেলে জর্জ। এই তরুণের প্রেমেই অবশেষে পড়ে যায় লুসি। ১৯৮৫ সালের এ ছবিটি ই এম ফস্টারের উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালনা করেছিলেন জেমস আইভরি।
জুলস এ্যান্ড জিম
সাল ১৯৬২, স্থান প্যারিস। ফরাসি নিউ ওয়েভ সিনেমার স্বর্ণযুগ সেটা। মুক্তি পেল ‘জুলস এ্যান্ড জিম’। ক্যাথরিন নামের এক ফরাসি নারী একই সঙ্গে প্রেমে পড়েছে দুই তরুণের। একজন জুলস, জাতে জার্মান। অপরজন জিম, ফরাসি। দুই পুরুষও পাগলের মতোই ভালবাসে ক্যাথরিনকে। দু’জনেরই সঙ্গেই প্রেম এগিয়ে যেতে থাকে সমান তালে। কিন্তু এর পরিণতি কি?
আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান