ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: ২০:১২, ৭ মে ২০২৪

পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা

পেঁয়াজ

দীর্ঘ ৫ মাস পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে, গেলো দুদিনে হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক নতুন করে ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আমদানিকারকরা আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। 

ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি পেয়েছেন আমদানিকারকেরা। অনুমতি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে দু-একজন এলসি খুলেছেন, আবার কেউ খোলার অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে আগে যে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছিল সেটি এখনও প্রত্যাহার করেনি। এ কারণে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্দরের আমদানিকারকরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। আইপি নেওয়াসহ এলসি খোলা ও ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দরদাম ঠিক করা শুরু করেছিলেন। এমনকি অনেকে পেঁয়াজ কিনে ট্রাকে লোড দিয়েছিলেন, যা কিনা ভারতের অভ্যন্তরে পার্কিংয়ে এসেছিল। কিন্তু পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকারের আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে। এটি প্রত্যাহার ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে না।

কেননা, ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হবে। এতে বন্দরের চার্জসহ সব খরচ মিটিয়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম পড়বে ৭০ টাকার ওপরে। বর্তমান দেশের বাজার অনুযায়ী এই দামে পেঁয়াজ আমদানি করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের। এই অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানি করলে ট্রাকপ্রতি আমাদের সাড়ে ৬ লাখ টাকার মতো লোকসান গুনতে হবে। 

এ কারণে ক্ষতির আশঙ্কায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। ইতোমধ্যে যেসব পেঁয়াজের ট্রাক লোড হয়ে ভারতের হিলি পার্কিংয়ে এসেছিল সেগুলো আনলোড করে তাদের স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। আর যাদের গুদাম রয়েছে তারা সেগুলো গুদামে নামিয়ে রাখছেন।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। মূলত ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল। 

গত শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এরপর আমদানিকারকরা আমাদের সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করতে শুরু করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দফতর আইপি ইস্যু করছে। সোমবার পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আগেই যাদের আইপি নেওয়া রয়েছে সেটার মেয়াদ থাকলে ওই আইপি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। যারা আইপি পেয়েছেন তারা এলসি খুলে আমদানি করতে পারবেন।’

 

শহিদ

×