ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষিকার দিকে জুতো নিয়ে তেড়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২৮ মার্চ ২০২৪

শিক্ষিকার দিকে জুতো নিয়ে তেড়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক!

প্রতীকী ছবি। 

মিড ডে মিলে দুর্নীতির প্রতিবাদ করাই কাল! স্কুলেরই সহকারী শিক্ষিকাকে ধমক দিয়ে জুতো উচিয়ে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভারতের সামশেরগঞ্জের নিমতিতার ধুশরিপাড়া কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আর জুতো উঁচিয়ে তেরে যাওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সামশেরগঞ্জে। 

সামশেরগঞ্জের নিমতিতার ধুশরিপাড়া কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আক্রান্ত ওই সহকারী শিক্ষিকা মার্গারেট হাসদারের অভিযোগ, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুলে মিড ডে মিলে ব্যাপক দুর্নীতি চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। কম ছাত্র আসলেও বেশি ছাত্র দেখিয়ে এবং মেনু চাট অনুযায়ী ঠিকমতো মিড ডে মিলের সামগ্রী না দিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতেই আমার ওপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। শনিবার দুপুরের দিকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক আমাকে জুতো উচিয়ে তেড়ে আসেন।’ 

এদিকে অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ হালদারের দাবি, ‘যদি আমার অন্যায় হয় তাহলে মেনে নেব।’

জুতো উঁচিয়ে তেড়ে আসার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষকের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি অশান্ত হালদার। গত শনিবার স্কুল বন্ধ হওয়ার পর গতকাল বুধবার স্কুল খুললেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ হালদার ছুটিতে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন অনঙ্গ মোহন সিংহ। তার দাবি, মার্গারেট হাঁসদা নামে শিক্ষিকা ঠিক মতো স্কুলে আসেন না। তাকে ঠিকমত ডিউটি পালন করতে বলায় মিড ডে মিল নিয়ে এধরনের অভিযোগ করছেন। যদিও তিনি পুরো ঘটনাটির সমাধান করে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। 

এদিকে ওই শিক্ষিকার ওপর এভাবে জুতো উঁচিয়ে তেড়ে আসার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের ধুলিয়ান চক্র শাখার কার্যকারী সভাপতি তরুণ কুমার সিংহ। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

এ বিষয়ে ধুলিয়ান চক্রের স্কুল ইন্সপেক্টর হোসনেয়ারা খাতুন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওই শিক্ষিকার পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করা অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

এম হাসান

×