ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে বর্ষাকালীন ক্ষিরা চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

পঞ্চগড়ে বর্ষাকালীন ক্ষিরা চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক

এ রহমান মুকুল, পঞ্চগড় ॥ অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পঞ্চগড়ে কৃষকরা বর্ষাকালীন ক্ষিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বর্ষার শুরুতে চারা লাগালে বর্ষার শেষ হয়ে শীত আসা পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এ সময়টাতে বাজারে প্রচুর সবজির চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই বিক্রি হয়ে যায় এই ক্ষিরা। জেলাসহ জেলার বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে ক্ষিরা ক্রয় করায় কৃষকরা এবার ভাল দামও পাচ্ছেন। ক্ষিরা চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে পঞ্চগড়ে ক্ষিরা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, অস্থায়ী জাংলা দিয়ে অনেক কৃষক ক্ষিরা চাষ করছেন। উঁচু ও পতিত জমি ছাড়াও অধিক লাভবান হওয়ায় ফসলি জমিতে আমন চাষ না করে মাটির ঢিবি করে কৃষক ক্ষিরা চাষ করছেন। মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ ক্ষিরা বিক্রি হয়েছিল ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। এখন ভর মৌসুম চলছে। বাজার কিছুটা মন্দা হলেও কৃষকের লোকসান নেই। উৎপাদন খরচ বাদেও ভালই লাভ থাকছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা কৃষকের ক্ষেত থেকে নগদ মূল্য দিয়ে ক্ষিরা সংগ্রহ করে ট্রাকে ভরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। আমতলা গ্রামের কৃষক হামিদুল ইসলাম বাবুল একটি মাদ্রাসার সুপার। এবার তিনি প্রাথমিকভাবে ২০ শতক জমিতে ক্ষিরা চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তার ক্ষেতের ক্ষিরা ২৭ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছেন। আরও এক মাস ক্ষিরা তুললে ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। সেই জমিতে আমন ধান চাষ করলে এত টাকা লাভ হতো না বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, আগামী বছর কমপক্ষে এক একর জমিতে তিনি ক্ষিরা চাষ করবেন। এ ব্যাপারে পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ.ম. আশরাফ আলী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিতে পরিবর্তন আসছে। কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে আমন ধান ছাড়াও বিভিন্ন সবজি চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকে আমরাও কৃষকদের এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে আসছি। ওয়ালটনের এলইডি ও সিআরটি টিভিতে ৩ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার টেলিভিশনে ৩ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। সিআরটি এবং এলইডি টেলিভিশনে এই সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালনটন ব্র্যান্ড। ১৫ অক্টোবর থেকে গ্রাহকরা ভোগ করতে পারবেন এই সুবিধা। পাশাপাশি এলইডি টিভির প্যানেল, আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও আফটার সেল সার্ভিসে দেয়া হচ্ছে দুই বছরের ওয়ারেন্টি। আবার সিআরটি টিভির পিকচার টিউবেও দেয়া হচ্ছে চার বছরের ওয়ারেন্টি। ওয়ালটনের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল বারী বলেন, বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের টেলিভিশন বর্তমানে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত মেশিনারিজ এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে সর্বোচ্চমানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে টেলিভিশন প্রস্তুত করছে ওয়ালটন। ফলে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধির জন্য শর্তসাপেক্ষে তিন মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি গ্রাহকদের ওয়ারেন্টি কার্ড এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। ওয়ালটন সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এবং শতভাগ ব্র্যান্ড নিউ পিকচার টিউব দিয়ে তৈরি বিশ্ব মানসম্পন্ন ৪০টিরও বেশি মডেলের সিআরটি টিভি বাজারে আছে ওয়ালটনের।
×