ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

মোরসালিন মিজান

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২৮ মার্চ ২০২৪

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে রাজধানীর চারুকলায় সরাচিত্র অঙ্কন করছেন শিল্পীরা

বাঙালির পহেলা বৈশাখ আসছে। আর মাত্র ক’দিন পর ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নতুন বছরের প্রথম দিন উৎসবে মাতবে গোটা দেশ। গ্রামীণ ঐতিহ্য আর লোক সংস্কৃতির শক্তিতে জেগে উঠবে তরুণ প্রজন্ম। ধর্ম-বর্ণের বিভাজন রেখা এই উৎসবে একদমই থাকে না। ফলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দারুণ এক উজ্জীবন ঘটে। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বর্ণিল উৎসব সামনে রেখে জোরেশোরেই চলছে প্রস্তুতি। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার আয়োজনগুলো ঘিরে তুঙ্গে থাকে কৌতূহল।

সে কৌতূহলের কথা বিবেচনায় নিয়ে যথারীতি কাজে নেমে গেছে ছায়ানট। বাঙালির গর্বের প্রতিষ্ঠান পহেলা বৈশাখ রমনা বটমূলে প্রভাতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই জাতীয়ভাবে বর্ষবরণ উৎসব শুরু হবে। আয়োজনটি সফল করতে এখন দিনরাত কাজ করছে ছায়ানট। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত রিহার্সাল করছে। গানে গানে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে তারা। একই রকম ব্যস্ততা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে।

প্রিয় এই প্রাঙ্গণে পা রাখলে মন, সত্যি বলতে, নেচে ওঠে। মনে হয় যেন উৎসব শুরু হয়ে গেছে! এখান থেকে পহেলা বৈশাখ সকালে বের করা হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার জন্য তহবিল গঠনের লক্ষ্যে এখন চলছে ছবি আঁকার কাজ। ছাত্র ও শিক্ষকদের কেউ ক্যানভাসে ছবি আঁকছেন, কেউ ব্যস্ত সরাচিত্রে। সাধারণ মাটির সরায় তুলির আচড় পড়তেই রঙিন হয়ে উঠছে। ফোক ফর্মে অযুত গল্প বলার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা। কাগজ দিয়ে পাখি-ফুল ইত্যাদিও তৈরি করা হচ্ছে।

আর মুখোশ তো না হলেই নয়। বিচিত্র মুখোশে ভরে উঠছে জয়নুল গ্যালারি। এসব বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়েই মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য আকর্ষণীয় সব স্ট্রাকচারাল ফর্ম গড়া হবে। কিছু দিনের মধ্যই ফর্মগুলো দৃশ্যমান হতে পারে। তাই কৌতূহলীরা ঘন ঘন খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। বৈশাখের রং একটু আগেভাগে গায়ে মাখতে  চারুকলায় ঢুঁ মারছেন তারা। ফলে উৎসবের আগেই সেখানে একটা উৎসবের আমেজ। গত ২১ মার্চ থেকে শুরু প্রস্তুতি চলবে বর্ষবরণের আগের রাত পর্যন্ত। সময়-সুযোগ করে ঘুরে আসুন। নিশ্চিয়ই ভালো লাগবে। 
ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে ॥ রাজধানীতে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। মোটামুটি রোজার প্রথম দিন থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে মার্কেট, শপিংমল, ফুটপাতÑ সর্বত্রই উপচেপড়া ভিড়। ঈদে নতুন জামা-জুতা চাই। আরও কত শত কেনাকাটা! যেন শেষ হতে চায় না। এখন তাই বহু মানুষ শপিংমলে ইফতার সারছেন। মার্কেটের মেঝেতে বসে ইফতার সেরে আবারও ব্যস্ত হচ্ছেন কেনাকাটায়। দৃশ্যটা দেখার মতো বৈকি।

এখন থেকে যতদিন যাবে ততই বাড়বে ব্যস্ততা। উৎসবপ্রিয় মানুষের ছোটাছুটি বাড়বে বৈ কমবে না। তবে এ সময় অপচয়ও অনেক হয়। একদিকে অপচয়, অন্যদিকে ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের হাহাকার। ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষগুলোর কথাও তাই, আসুন, একটু ভাবি। তাদের কাছেও ঈদ আনন্দের হয়ে ধরা দিক। সবাই মিলে চাইলে কেন তা হবে না?

×