ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

সমরেশ মজুমদার সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সেলিনা হোসেন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ১৯ মার্চ ২০২৪

সমরেশ মজুমদার সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সেলিনা হোসেন

মজুমদার সাহিত্য পুরস্কারের চেক গ্রহণ করছেন সেলিনা হোসেন

সমরেশ মজুমদার মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ও প্রকাশনা সংস্থা আবিষ্কার প্রবর্তিত সমরেশ মজুমদার সাহিত্য পুরস্কার পেলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বরেণ্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে তাকে প্রদান করা হয় পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক ও সম্মাননা স্মারক। 

সম্মাননাপ্রাপ্ত সেলিনা হোসেনের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ও প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে সভাপতি করেন পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মেয়ে দোয়েল মজুমদার ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কন্যা দেবলিনা মুখোপাধ্যায়।

সম্মাননাপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশে সেলিনা হোসেন বলেন,  লেখক ও পাঠকদের মাঝে সমরেশ মজুমদার যে মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছেন তা খুব কম লেখক করতে পারেন। তার মতো কীর্তিমান লেখকের স্মরণে প্রবর্তিত সম্মাননায় আমাকে ভূষিত করার জন্য এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি আমাকে সাহিত্যচর্চায় নতুন করে দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে বলেই আমি মনে করছি। এ সময় তিনি আবিষ্কার প্রকাশিত সমরেশ মজুমদার স্মারকগ্রন্থ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর কিছু অংশ পড়ে শোনান এবং সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগ ও ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সমরেশ মজুমদার ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সমানভাবে জনপ্রিয়। শুধু বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গেই নয় সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে সমরেশ মজুমদারের সাহিত্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। সমরেশ মজুমদারের লেখনী ছাড়া বাংলা সাহিত্যের কথা চিন্তাই করা যায় না।

সমরেশ মজুমদারের লেখা পড়েনি বাংলা ভাষার এমন পাঠক খুব কমই পাওয়া যাবে। স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পাঠকরা সমরেশ মজুমদারের সাহিত্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলেই আমি মনে করি। শুধু লেখক হিসেবেই নয় নীতিতেও অটল ছিলেন সমরেশ মজুমদার। 
দোয়েল মজুমদার বলেন, এদেশে এলে মনে হয় না অন্য কোনো দেশে এসেছি। বাংলাদেশকে আমাদের নিজের দেশই মনে হয়। দুই দেশের সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের মাঝে আমার বাবা একটা মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছেন বলেই আমার বিশ্বাস। এদেশে এলেই বুঝতে পারি আমার বাবা এদেশের পাঠকদের কাছে ও সাহিত্যাঙ্গনের মানুষদের কাছে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। আপনাদের ভালোবাসার ঋন কখনো শোধ করার মতো নয়। এদেশের মানুষের প্রতি আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।

অনুষ্ঠানের অতিথিরা সম্মিলিতভাবে আবিষ্কার প্রকাশিত ও দেলোয়ার হাসান সম্পাদিত সমরেশ মজুমদার স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে। বইটিতে বাণী দিয়েছেন শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জী। স্মারকগ্রন্থটিতে সমরেশ মজুমদারকে নিয়ে লিখেছেন আনিসুজ্জামান, রঞ্জিত মল্লিক, গৌতম ঘোষ, দোয়েল মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, ইমদাদুল হক মিলন ও নঈম নিজামসহ ৩৪ জন লেখক।

×