ওবায়দুল কাদেরের কথা গুরুত্ব দেই না ॥ ফখরুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ক্ষমতাসীন সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের পরিবেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিবেশকে আরও খারাপ না করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। নয়ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের কোন পথ থাকবে না। তিনি শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও বিএনপি কার্যালয়ে জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। ক্ষমতায় না থাকায় বিএনপির পচন ধরেছে- ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছিল। সুতরাং ক্ষমতার বাইরে থাকলে পচনশীল হয় না। বিএনপি উর্ধগামী দল। আমরা যে উর্ধগামী দল সেটি প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন শুধু একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। ফখরুল ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কোন কথাকে আমরা গুরুত্ব দেই না। কারণ তিনি কোন কিছুর সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। সিদ্ধান্ত দেন শেখ হাসিনা। তাই তার কথায় গুরুত্ব দেয়া আমাদের প্রয়োজন নেই। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে পানিতে টুস করে ফেলে দেয়ার কথাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভয়ঙ্কর কথা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবেই ক্ষমতায় আসুন না কেন। তিনি রাষ্ট্রের একজন প্রধান হয়ে যা বলেছেন তা মেনে নেয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সবসময় সন্ত্রাস করে, জোর করে ক্ষমতায় যায় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্রই হচ্ছে জোর করে ক্ষমতায় থাকা। এর পরের নির্বাচনেও তারা জোর করে, সন্ত্রাস দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তারা জনগণকে ভোট দেয়ার কোন সুযোগই দেয় না। আওয়ামী লীগের গত ১৪ বছরের ইতিহাস হচ্ছে জোর করে টিকে থাকার ইতিহাস। তারা সব কিছু পরিবর্তন করেছে। এমনকি তারা সংবিধান পরিবর্তন করে এটাকে সম্পূর্ণরূপে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে হাস্যকর মনে হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টে ক্যু করে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল এই আওয়ামী লীগ। তাই তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানেই প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।