বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ নয় বরং স্থিতিশীল রাখতে চায় সরকার। রাশিয়া-ইউক্রনের যুদ্ধ অনেকটা প্রভাব ফেলেছে আমাদের খাদ্যপণ্যের ওপর। এজন্য সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। সামনের দিকে কিছুটা সঙ্কট রয়েছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সে রকম কোন আশঙ্কা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপটি সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
ব্যবসায়ীরা সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দিই। সে অনুযায়ী দাম থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই। সরবরাহ ও চাহিদার ওপর বাজার নির্ভরশীল। তাই চাইলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রনের যুদ্ধ অনেকটা প্রভাব ফেলেছে আমাদের খাদ্যপণ্যের ওপর। এজন্য সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। সামনের দিকে কিছুটা সঙ্কট রয়েছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সে রকম কোন আশঙ্কা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রচুর ব্যবসায়ীকে ধরছি। সেটি ধরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর । সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে, জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না; যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আন্তর্জাতিক অবস্থা ভাল থাকলে দেশের অবস্থাও ভাল থাকে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বৈশ্বিক সমস্যার ভেতরে আছি। তেল, চিনি, ডালের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব হলে আমাদের দেশেও দাম বেড়ে যায়।
