ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আব্দুল্লাহ আল জাওয়াদ

পথচলায় স্বস্তি

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১৬ মে ২০২২

পথচলায় স্বস্তি

কখনও রোদ কখনও বৃষ্টি তবুও হেঁটে চলা পায়ের কোন ক্লান্তি নেই। হেঁটে চলছে দিগন্তের পানে। রোদের মিষ্টি আলোর সুখানুভূতি মনকে আন্দোলিত করছে। কখনও বৃষ্টির ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে শরীর ও মন। সবকিছু খুব স্বাচ্ছন্দ্যময় লাগে যদি জুতা জোড়া আরামদায়ক হয়। বয়স, কাল ও লিঙ্গ ভেদে জুতার রয়েছে বাহারী ডিজাইন। সঠিক সময়ে সঠিক জুতার ব্যবহার পা জোড়াকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনাকে করবে আকর্ষণীয় ও ফ্যাশনেবল। চলছে গ্রীষ্মকাল। তাই এ সময়ে কোন জুতা ব্যবহারে আপনার পা জোড়া ভাল থাকবে, সে ব্যাপারে সতর্ক হোন। সু পড়লে যেকোন সময় বৃষ্টিতে ভিজে সমস্যা তৈরি হতে পারে, তাই এ সময় খোলামেলা স্লিপারগুলো বেশি আরামদায়ক। যখন তখন ভিজে গেলেও পা শুকিয়ে যাবে। তাই সময় হয়েছে ফ্যাশনেবল স্লিপার ব্যবহার করার। আবার দীর্ঘকালীন আলমারিতে বন্দী স্লিপারগুলো বের করে নতুনভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এখন বিভিন্ন ওয়াটার প্রুফ সু পাওয়া যায়। যারা পায়ে পানি লাগলে অস্বস্তিবোধ করেন তারা এসব সু ব্যবহার করুন। শপিংমল ছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসেও রয়েছে নানা রকমের সু বা জুতা। অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জুতার দোকান। স্থান ও কালভেদে জুতার ব্যবহারে রয়েছে ভিন্নতা। চলুন জেনে নেয়া যাক কোথায় কেমন জুতা মানানসই। অফিস : কর্মক্ষেত্রে পোশাক পরিচ্ছেদের সঙ্গে ফ্যাশনাবেল জুতা আপনার ব্যক্তিত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই চামড়ার সু বেশি মানানসই। তবে চামড়া ছাড়াও বাহারী ডিজাইন ও কালারের সু পাওয়া যায় এপেক্স, বাটা, বে এম্পোরিয়াম, লোটো, জেনিসসহ বিভিন্ন ব্রান্ড ও নন ব্রান্ডের জুতার শো রুমে। মেয়েদের ক্ষেত্রে কালো, মেরুন ও বাদামী কালার ভাল মানাবে। ছেলেদের জন্য কালো এবং বাদামী কালারটাই বেশি মানানসই। মেয়েদের জুতা দেড় থেকে দুই ইঞ্চি হিল হলে ভাল লাগে। তবে যাদের উচ্চতা বেশি অথবা পায়ে ব্যথাজনিত কোন সমস্যা থাকলে আরামদায়ক স্লিপার পরুন। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে, কম দামীয় জুতা পরে হাঁটলে শব্দ হয়। এই শব্দ অফিসের শান্ত পরিবেশকে বিঘিœত করতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্রে একটু দামী ও ভাল মানের জুতা পরাই উত্তম। স্কুল : চিরচেনা কলোরব। মুখরিত স্কুলের বারান্দা। ভোরের রাস্তায় দুই পাশে সারি বেঁধে হাঁটার দৃশ্য। আবার কেউ রিক্সায়। কেউ গাড়িতে চেপে। পায়ে পায়ে ছন্দ। সেই ছন্দপতন যেন না ঘটে সে ব্যাপারে আমাদের অভিভাবকরা বেশ সচেতন। তাইতো শিশু ও তরুণ-তরুণীর পায়ে দেখা যায় মনোরম সু। অধিকাংশ স্কুলের সু নির্ধারিত থাকে। যেসব স্কুলে জুতার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই সেসব স্কুলের অভিভাবকরা বাচ্চাদের জন্য কেটস বা বাটার স্কুল সু কিনতে পারেন। আড্ডা : কাজের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই চলে যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। কেউ যায় প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে। দিনশেষে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে মনকে রিফ্রেশ করে। তাইতো অফিসের আটসাট ভাব বাদ দিয়ে মনোরম পোশাকের সঙ্গে চাই আরামদায়ক স্লিপার। তাই একদম খোলামেলা স্লিপার বাদ দিয়ে মেয়েরা পরতে পারেন সামনে ও পিছন দিয়ে আটকানো সু। টিনএজদের পছন্দ পাম সু। এছাড়া শপিংমলে চমৎকার হাফ সু পাওয়া যায় বিভিন্ন ডিজাইনের। যা ডিজাইন ভেদে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই পরতে পারেন। উচ্চতা বেশি হলে ফ্লাট স্লিপার বা সু পরুন। নয়ত একটু হিল পরাই ভাল। ভ্রমণ : ভ্রমণকে আরামদায়ক করতে ড্রেসের সঙ্গে চাই মানানসই পাদুকা। আবহাওয়া ও স্থান অনুযায়ী পাদুকা নির্বাচন করুন। আবহাওয়া শীতল হলে হাইনেক রাইডিং সু বা টাইট উলের সু পরতে পারেন। সমুদ্র বিলাসের জন্য পরতে পারেন প্লাস্টিক স্লিপার যা ভিজলেও নষ্ট হবে না। ভ্রমণের পরিবেশ ও সময় অনুযায়ী পাদুকা নির্বাচন করুন। বিয়ে : বিয়ের সাজ-পোশাক নিয়ে তরুণ-তরুণীর মধ্যে লুকায়িত স্বপ্ন, কিছু কল্পনা মনের মন্দিরে নিভৃতে বসবাস করে। আধুনিক ছেলে-মেয়েরা সাজের ব্যাপারে একটু বেশিই চুজি। প্রতিটি বিষয় নিখুঁত করতে চায়। যেহেতু সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ সু। এক্ষেত্রে তরুণীরা পোশাকের ধরন ও ব্যাগের সঙ্গে মানানসই জুতা নির্বাচন করুন। গোল্ডেন, মেরুন, গ্রীন ও অন্যান্য কালারের পুথি ও স্টোনের কাজ করা নান্দনিক সু বিভিন্ন শপিংমলে পাওয়া যায়। এসব সু আপনাকে করবে আরও অতুলনীয় এবং আকর্ষণীয়। তরুণরা বরাবরই পাঞ্জাবি-পায়জামার সঙ্গে পড়ে থাকেন নাগরা, চটি অথবা ফিতাওয়ালা চপ্পল। স্যুটের সঙ্গে সু এবং শেরওয়ানির সঙ্গে ফিতাওয়ালা জুতা অথবা মেকাসিনো পরতে পারেন। রঙের ক্ষেত্রে কালো, গোল্ডেন, চকোলেট অথবা পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং যে কোন কালার পরতে পারেন। উল্লেখ্য, জুতোর ধরন ও ডিজাইন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। দেশী, বিদেশী নানা ব্র্যান্ডের জুতা যেকোন শপিংমলে পাওয়া যায়। তাই কোথায় যাবেন এবং আবহাওয়া কেমন তার ওপরে নির্ভর করে পাদুকা নির্বাচন করুন। তবেই আপনার যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।
×