ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দাবি মালিক পক্ষের

নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত: ২২:১১, ২৯ জানুয়ারি ২০২২

নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ বন্দরের মদনপুর এলাকায় জাহিন নিটওয়্যারস লিমিটেড নামের একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির দাবি করেছে মালিক পক্ষ। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বিকেলে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা, সোনারগাঁও, বন্দর ও সদর দফতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত ১০টার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়। শুক্রবার বন্ধের দিন থাকায় কারখানায় অল্প সংখ্যক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অগ্নিকা-ের ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের মদনপুর অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শফিউদ্দিন ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, আগুন লাগার পর নিরাপত্তা কর্মীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। আগুন অন্যান্য ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারখানায় মূলত গেঞ্জি, পলো শার্ট, জ্যাকেট, ট্রাউজার তৈরি করা হয়। প্রতিটি ইউনিটের ওপরের অংশগুলোতে এসব তৈরি পোশাক প্রচুর পরিমাণে ছিল। এর মধ্যে ৫ নং ইউনিট ২৫ হাজার স্কয়ার ফিটের। ফলে আগুনে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ১৫০ কর্মী প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হবে। হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি বা কেউ নিখোঁজ আছে বলেও অভিযোগ নেই। ডাম্পিং শেষ হলে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ফ্লোরে খুঁজে দেখা হবে কোথাও হতাহত কেউ আছে কিনা। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বিকেল সাড়ে চারটায় আগুন লাগার খবর পাই। বেলা পৌনে পাঁচটায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও, বন্দরসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো এসে আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের তেরোটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। ক্ষতির পরিমাণও তদন্তেই উঠে আসবে। পুলিশ জানায়, অগ্নিকা-ের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কিছু সময় বন্ধ ছিল। তবে পুলিশ সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল সচল রাখার কাজ করেছে। কারখানার পরিসর বড় হওয়ায় এবং আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের বেগ পেতে হয়েছে। তবে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ভেতরে কোন শ্রমিক আটকা পড়েনি বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
×