ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনাকে সহজেই হারাল চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

খুলনাকে সহজেই হারাল চট্টগ্রাম

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্সকে ২৫ রানে হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মিরপুরে বড় কোন ইনিংস না এলেও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রানের ‘চ্যালেঞ্জিং’ স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। জবাবে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে খুলনার সংগ্রহ। চ্যালেঞ্জার্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো টাইগার্সদের হয়ে ২৪ বলে ৫ চারে ৩০ রান করে আউট হন মেহেদী হাসান। তার আগে ১৬ রানে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। অধিনায়ক মুশফিক থামেন ব্যক্তিগত ১১ রানে। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২২ রান করে আউট হন সিকান্দার রাজা। সতীর্থদের ব্যর্থতার মিছিলে ২৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ইয়াসির আলির ৪০ রান হারের ব্যবধান কামিয়েছে কেবল। শরিফুল ইসলাম, মিরাজ ও রেজাউর রাজা প্রত্যকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এর আগে শুরু আর শেষের ঝড়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্কোর পায় চট্টগ্রাম। যেখানে সোহরাওয়ার্দী শুভর করা প্রথম ওভারেই ওঠে বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৩ রান। বাঁহাতি স্পিনারকে বেধড়ক পেটান দুই ওপেনার কেনার লুইস ও উইল জ্যাক। এরপর পুরো ইনিংসে তাঁর হাতে আর বল তুলে দিতে সাহস পাননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সোহরাওয়ার্দী প্রথম বলই করেন লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে। মুশফিকও বলের নাগাল পাননি। ওয়াইডসহ চট্টগ্রাম পায় ৫ রান। পরের বলে স্লগ সুইপকে ছক্কা হাঁকান লুইস। দ্বিতীয় বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে জ্যাক কোন রান নেননি। চতুর্থ বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং দিয়ে চার হাঁকান ডানহাতি ওপেনার। পঞ্চম বলে স্লগ সুইপে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা। শেষ বলে আরও ১ রান। জ্যাকস দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে কামরুল ইসলাম রাব্বীকে স্বাগত জানান ছক্কায় উড়িয়ে। এরপর তৃতীয় ওভারে পেসার নাবীন উল হককে একটি চার ও ছক্কা মারেন লুইস। আফিফের ব্যাট থেকে আসে একটি চার। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লে’তেও উড়েছে দলটি। ২ উইকেটে প্রথম ৬ ওভারে করে ৬৪ রান। ঝড়ো শুরুর পর অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন জ্যাকস (৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৭)। এরপর আফিফকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যান লুইস। তিনি থামেন চতুর্থ ওভারে। সমান ২ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ২৫ রান। আফিফের সঙ্গী হন সাব্বির রহমান। এ দুজনের জুটি লম্বা হয়নি ভুল বোঝাবুঝিতে। আফিফ ১৩ বলে ১৫ করে ফেরেন রান আউট হয়ে। সাব্বির এবার মিরাজকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। যদিও সাব্বির তার সহজাত ব্যাটিং করতে পারেননি। ৩৩ বলে ১ ছক্কায় ৩২ রান করে ফরহাদ রেজার শিকারে পরিণত হন। আর ২৩ বলে ৪ চারে ৩০ রান করে নাভিন উল হকের বলে আউট হন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। বেন হাওয়েল শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন। ৬ বলে ৯ করে রানআউট হয়ে ফেরেন শামীম। এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের শেষের ঝড়। হাওয়েল-নাঈম রানের ফুলঝুরি ছোটান। যদিও নাঈম শেষ বলে আউট হন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে। তিনি ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রান করেন। হাওয়েল ২০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার এদিন ছিল ক্যাচ আর ফিল্ডিং মিসের মহড়া। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম। স্কোর ॥ চট্টগ্রাম ১৯০/৭ (২০ ওভার; লুইস ২৫, জ্যাকস ১৭, আফিফ ১৫, সাব্বির ৩২, মিরাজ ৩০, হওয়েল ৩৪*, নাইম ১৫; রাব্বি ২/৩৫) খুলনা ॥ ১৬৫/৯ (২০ ওভার; ফ্লেচার ১৬, মেহেদী ৩০, মুশফিক ১১, ইয়াসির ৪০, সিকান্দার ২২, ফরহাদ ৬, রাব্বি ১৪*; শরিফুল ২/২৯, মিরাজ ২/৪২, রাজ ২/২০) ফল ॥ চট্টগ্রাম ২৫ রানে জয়ী ম্যাচ সেরা ॥ হওয়েল (চট্টগ্রাম)।
×