ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যেখানে হানাদারমুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

যেখানে হানাদারমুক্ত দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ আজ ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিনাযুদ্ধে হানাদারমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে শহরের দিকে অগ্রসর হয়। এতে শহরের চারপাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকহানাদার বাহিনী। ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার নাসিরনগরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। পটুয়াখালী নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী মুক্ত দিবস আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পটুয়াখালী শহরকে হানাদার মুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা ওড়ান পটুয়াখালীর সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি সেনারা পটুয়াখালী শহরের চারদিক অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত হামলার প্রস্তুতি নেন। পরের দিন ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের শহর দখলের খবর টের পেয়ে পাকবাহিনী আচমকা পটুয়াখালী শহরে কারফিউ জারি করে একটি দোতলা লঞ্চ ও একটি একতলা লঞ্চযোগে পটুয়াখালী শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৮ ডিসেম্বর খুব ভোরে পটুয়াখালী শত্রুমুক্ত হয়। ভালুকা নিজস্ব সংবাদদাতা ভালুকা, ময়মনসিংহ ॥ ৮ ডিসেম্বর ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর মেজর আফসার বাহিনীর কাছে ১৯৭১’র এই দিনে ভালুকা ক্যাম্পের কয়েক হাজার রাজাকার, আলবদর ও পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে। দীর্ঘ ৯ মাসের বিভিন্ন যুদ্ধে মেজর আফসার উদ্দীনের পুত্র নাজিম উদ্দীনসহ ৪৭ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। মুজিব শতবর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর ভালুকা মুক্তদিবসে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন ও ৭ দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মীরসরাই নিজস্ব সংবাদদাতা মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ ৮ ডিসেম্বর মীরসরাই হানাদার মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে মীরসরাইকে হানাদার মুক্ত করে। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মীরসরাই ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড’ এবং ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এর আয়োজনে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান করা হবে। কালকিনি নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি, মাদারীপুর ॥ কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস আজ বুধবার। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ওপর। এতে করে পাক হানাদারবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজয় বরণ করে। সেদিন তারা মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পড়ে কালকিনি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চাঁদপুর নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর ॥ ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল। চাঁদপুর সদর থানার সামনে এদিন বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম চাঁদপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। মুক্ত দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে। এর মধ্যে সকাল ১০টায় মেলার স্থল শহরের আউটার স্টেডিয়ামে শতকণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং সবশেষে একই মঞ্চে চাঁদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অংশগ্রহণে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশিত হবে। ঝালকাঠি নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। এই উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়েছে। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ঝালকাঠিতে অবস্থানকারী হানাদার মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পদ্মা পেট্রোলিয়াম ডিপোর ঘাটে গানবোট অপেক্ষা করতে থাকে। হানাদার বাহিনী শহরে কার্ফু জারি করে তাদের রসদ গানবোটে তুলে বেলা সাড়ে ১২টায় ঝালকাঠি শহর ত্যাগ করে। এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেলিম শাহনেওয়াজ আসার পরে শত্রু বাহিনী তার কছে অ¯্র সমর্পণ করেন এবং কোন ধরনের রক্তপাত ছাড়াই ঝালকাঠি হানাদারমুক্ত হয়। মোহনগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা ॥ ৮ ডিসেম্বর মোহনগঞ্জ মুক্ত দিবস ১৯৭১ সালের এই দিনে মোহনগঞ্জ শহর পাক হানাদার দখল থেকে মুক্ত হয়। মুক্তিবাহীনীর প্রচ- প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী মোহনগঞ্জের পশ্চিম দিক দিয়ে বারহাট্টা অভিমুখে পালিয়ে যায়। মোহনগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে ৮ ডিসেম্বর সকালে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দৌলতপুর নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর ॥ ৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে দৌলতপুরকে শত্রুমুক্ত করে থানা চত্বরে বিজয় পতাকা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে মুক্তিকামী বীর সন্তানেরা দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করেন। দিবসটি পালনে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়াও রফিকনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ রফিকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বরিশাল হানাদারমুক্ত হয়েছিল। সেদিন বরিশালের আকাশ-বাতাশ প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল হাজার হাজার মানুষের ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে। বরিশাল মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচীর অয়োজন করেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় নগরীর ওয়াপদা কলোনিসংলগ্ন স্মৃতি ’৭১ নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। দুপুরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সম্প্রীতির আলোয় আলোকিত কনসার্ট। পাক সেনারা প্রথমে অশ্বিনী কুমার টাউন হল পরে জিলা স্কুলে এবং সর্বশেষ ওয়াপদায় তাদের হেডকোয়ার্টার গড়ে তোলে। এখানেই তৈরি করা হয় নির্যাতন কক্ষ। অসংখ্যবার সম্মুখযুদ্ধ শেষে ৮ ডিসেম্বর বরিশাল পাক হানাদার মুক্ত হয়। পিরোজপুর নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর ॥ ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পিরোজপুর পাক হানাদার, রাজাকার, আলশামস ও আলবদর মুক্ত হয়। এ দিনে ঘরে ঘরে উড়েছিল লাল সবুজের বিজয় পতাকা। সুন্দরবনের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ৭ ডিসেম্বর রাতে সামছুল হক খানের নেতৃত্বে পাড়েরহাটের দিক থেকে এবং হাবিবুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে আরেকটি শক্তিশালী দল নাজিরপুরের পথ ধরে শহরের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসার খবর পেয়ে দখলদার বাহিনী পিরোজপুর ছেড়ে গানবোটে চড়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়। সাঘাটা সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ বুধবার গাইবান্ধার সাঘাটা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ফুলছড়ি থানা মুক্ত করার পর ৭ ডিসেম্বর মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতলি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা সমবেত হয়। সেখান থেকে ৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সাঘাটা থানা সদর বোনারপাড়ায় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। এ খবর পেয়ে বোনারপাড়ায় অবস্থানরত হানাদার বাহিনী এবং অবাঙালীরা একটি বিশেষ ট্রেনে রংপুরের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। এদিকে মঙ্গলবার গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ নিপাত যাক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা কর, করতে হবে’। গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সৌজন্যে দিবসটি পালন করা হয়। নোয়াখালী মুক্ত দিবস পালন নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী ॥ নোয়াখালী মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুক্তযুদ্ধকালীন সি-জোন কমান্ডার এবং বর্তমান সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারেফ হোসেন বলেন, ৭ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীকে শত্রুমুক্ত করার চূড়ান্ত অপারেশন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে আক্রমণ চালিয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা সংলগ্ন টেকনিক্যাল হাইস্কুলের রাজাকার ক্যাম্প মুক্ত করে এবং একই দিন সকাল ৯টার মধ্যে জেলা শহর মাইজদী বাজার ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, নাহার মঞ্জিল, রৌশনবাণী সিনেমা হল, দত্তেরহাট ও সোনাপুর কোল্ড স্টোরেজের রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। মাইজদী পিটিআই সংলগ্ন মুক্ত স্কয়ারে বিকেল ৩টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নোয়াখালী মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিরন জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। কোম্পানীগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে বসুরহাট পৌরসভার উদ্যোগে মুজিব কলেজের সামনে সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে শোভাযাত্রা, পৌর মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণ, ছয়জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা নিজস্ব সংবাদদাতা, চুুয়াডাঙ্গা ॥ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে। সকাল ৯টায় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ গ্রামে সম্মুখ সমরের যোদ্ধা শহীদ আট মুক্তিযোদ্ধার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক-১ মুন্সী আলমগীর হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ মাসুদউজ্জামান লিটু, দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ। শেরপুর নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ নানা আয়োজনে শেরপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি। মাগুরা নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ মঙ্গলবার মাগুরা পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। ডোমারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ডোমারের চিকনমাটিতে শহীদ মিজান-আব্দুল বারী স্মৃতিসংসদ পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার এবং বই পড়া উৎসব প্রতিযোগিতা ’২১ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বিজয় দিবসের ৫০ বছর সামনে রেখে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম এর উদ্বোধন করেন। শহীদ মিজান-আব্দুল বারী স্মৃতি সংসদ পাঠাগারের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা আওরঙ্গজেব করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরন নবী , পৌর কমান্ডের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক প্রমুখ।
×