বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তৃতীয় ধাপে এক হাজার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলের একক প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে যাচাই-বাছাই শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফর উলাহ, ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, রশিদুল আলম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অতীত কর্মকা-, দলের জন্য ত্যাগ এবং জনপ্রিয়, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়নে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
প্রথম দিনের সভায় নির্বাচন কমিশন লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর, পাবনা জেলার বেড়া, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর, নীলফামারী জেলার নীলফামারী- মোট নয়টি পৌরসভার দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
পরে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষিত তৃতীয় ধাপের এক হাজার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী বাছাই শুরু করে আওয়ামী লীগ। টানা চারদিনের বৈঠকে আট বিভাগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় গণভবনে আবারও বৈঠকে বসবেন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা।
এদিকে এই নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে দলীয় সভাপতি ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার সকাল থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদন ফরম বিক্রি করেছিল আওয়ামী লীগ। বুধবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচদিনে ৫৪৮৬ প্রার্থী দলীয় ফরম কেনেন। তাদের মধ্য থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করছে দলটি।
বৈঠক সূত্র জানায়, মাঠের জরিপ আর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অতীত কর্মকা- যাচাই-বাছাই করেই তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করছে ক্ষমতাসীন দলটি। এক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকলে অতীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে তাদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। প্রথম দিনের বৈঠকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দলের একক প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করা হয়। আজ শুক্রবারের বৈঠকের পর এ দুটি বিভাগের দলীয় একক প্রার্থিতা ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।