ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ ॥ ফেরি চলছে সীমিত

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ২ আগস্ট ২০২১

শিমুলিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ ॥ ফেরি চলছে সীমিত

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ রপ্তানিমুখী পোষাক শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় শ্রমিকদের কারখানায় পৌঁছাতে গত দুইদিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে প্রচ- চাপ ছিল। কিন্তু গত দুইদিনের উল্টো চিত্র সোমবারের শিমুলিয়া। এদিকে চাপ কমায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ এবং ফেরি চলাচল সিমীত করা হয়েছে। শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সোমবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই রুটে ৫২টি লঞ্চ চলাচল করেছে। যাত্রীর চাপ কমে যাওয়ায় দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় শতভাগ শ্রমিক কারখানায় ফিরে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘাটে সোমবার সেই চাপ অনেকটাই উধাও। লঞ্চ চলাচল করায় ফেরিতে যাত্রীর চাপ অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিআইডব্লিউটিসির টার্মিনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, ঘাটে এখন ছোট-বড় জরুরি পরিষেবা ও পণ্যবাহী শতাধিক যানবাহন পদ্মা পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। তাই ফেরি চলছে সিমীত পরিসরে। লঞ্চ-ফেরিতে সোমবার সকালের দিকে অসংখ্য যাত্রী পদ্মা পাড়ি দেয়। সোমবার সকাল হতে কর্মস্থলে ফেরাসহ নানা প্রয়োজনে বিধিনিষেধের মধ্যেও ঢাকা অভিমুখে লঞ্চ ও ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অগনিত মানুষকে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে জরুরি প্রয়োজন ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া খরচায় আর চরম বিড়ম্বনা ভোগ করে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করছে মানুষ। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে বহরের ১৮ টির মধ্যে নয়টি ফেরি চলছে। যাত্রীর চাপ হ্রাস পেয়েছে। জরুরি পরিসেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে চেক পোস্ট পার হয়ে যেসব যান জরুরি প্রয়োজনে আসছেন তাদেরও পার করা হচ্ছে।
×