ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ২৮ জুলাই ২০২১

বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার শত শত পরিবার। ঘরবাড়ি, রাস্তা, মাঠ, ক্ষেত-খামার পানিতে একাকার হয়ে গেছে। মাছ চাষের নামে প্রবাহমান খালে বাঁধ ও পাটা দেওয়ায় এবং স্লুইজ গেট আটকে রাখার কারণে শতাধিক গ্রামে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পরিবারের রান্না করার অবস্থাও নেই। মৎস্য ঘের, তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা ও বর্ষাকালীন সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার রামপাল, মোংলা, কচুয়া, ফকিরহাট, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও সদও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার জেলার শরণখোলার বলেশ্বর, মোরেলগঞ্জের পানগুছি, মোংলার পশুর, বাগেরহাটের ভৈরব, দড়াটানা, চিতলমারীর চিত্রা, মোল্লাহাটের মধুমতিসহ সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত এখানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাট জেলায় গড়ে ৯৩ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষিবিভাগ। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে শরণখোলা উপজেলায়। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বর্ষাকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষিবিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বাগেরহাটের উপ পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটে অবিরাম বৃষ্টিতে আউশ-আমনের বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে শরণখোলা উপজেলায়। এছাড়া জেলায় গড়ে ৯৩ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদি এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তবে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর জানান, সুন্দরবনে পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানি বেড়েছে। এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, অবিরাম বৃষ্টি ও জোয়ারের কারনে নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। তবে কেউ কোন প্রকার সরকারী খালে অবৈধ বাঁধ বা’ পাটা দিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করলে, তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ইতোমধ্যে বলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেণ।
×