ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েকে পরিচয় করিয়ে দিলেন নাবিলা

প্রকাশিত: ২০:০৩, ২১ জুলাই ২০২১

মেয়েকে পরিচয় করিয়ে দিলেন নাবিলা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ‘আয়নাবাজি’খ্যাত নায়িকা নাবিলা মা হয়েছেন। তখন ফেসবুকে দেখা যায়নি ছোট্ট মামণিকে। এবার ঈদের আনন্দে সবাই যখন ব্যাকুল, তখনই আনন্দ আরেকটু বাড়াতে নাবিলা জুনিয়রের পরিচয় হলো, এই তো। আগেই জানা ছিল, মেয়ের নাম মালহার মাসুমা হক। ডাকা যাবে স্মিহা নামে। এত দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আড়ালেই ছিল স্মিহা। এবার তার পরিচিতি হলো। নাবিলার স্বামী জোবায়দুল হক। পরিবারের নতুন সদস্য আসায় দুজনেই হয়েছিলেন আনন্দে আত্মহারা। নাবিলা মেয়ের মুখ দেখেছেন? স্মিহার জন্মের দিন জানতে চাইলে জোবায়দুল বলেছিলেন, ‘মেয়ের মুখ দেখার সময় সে আগে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছে, “তুমি তো মনে হয় অনেক খুশি হয়েছো? কারণ, আমরা জানতাম না, আমাদের ছেলে নাকি মেয়ে হবে।” তবে সব সময় নাবিলাকে বলতাম, আমাদের মেয়ে হবে। ও আমার মুখ দেখেই হয়তো বুঝতে পেরেছিল। সে খুবই খুশি হয়েছে। এই অনুভূতি আসলে আমরা কাউকে বোঝাতে পারব না। আমরা রাজকন্যার মা–বাবা হয়েছি।’ ২০১৮ সালে জোবায়দুল হককে বিয়ে করেন নাবিলা। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁকে ভালো লেগেছিল। নাবিলার দাদার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও বাবার চাকরিসূত্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবের জেদ্দায়। সেখানেই কেটেছে তাঁর কৈশোর। জোবায়দুলরাও সেখানে থাকতেন। দেশ থেকে দূরে সেই শহরে বর্ণ পরিচয়ের সময় থেকেই তাঁদের পরিচয়। সেই থেকেই দুজন দুজনকে পছন্দ করতেন। সেই ভালো লাগা পরে রূপ নেয় ভালোবাসায়। গত এপ্রিল মাসে সন্তানসম্ভবার খবর গণমাধ্যমে জানান নাবিলা। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০০০ সালে জেদ্দা থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন। ভর্তি হন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বাংলাদেশে ফেরার আট মাসের মাথায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বোন ও ভাইয়েরা তখন অনেক ছোট। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। বন্ধুদের উৎসাহে ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন উপস্থাপনা। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয়।
×