ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আতঙ্কে ব্রিটেনবাসী!

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২২ জুন ২০২১

আতঙ্কে ব্রিটেনবাসী!

ব্রিটেনজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেননা সেখানে পাওয়া গেছে ডাইনোসরের পায়ের ছাপ। সম্প্রতি হেস্টিংস মিউজিয়াম এ্যান্ড আর্ট গ্যালারির কিউরেটর ফিলিপ হ্যাডল্যান্ড ওই পায়ের ছাপগুলো আবিষ্কার করেন। যিনি একাধারে ব্রিটেনের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক। তিনি জানিয়েছেন, কেন্ট এলাকায় পাথরের গায়ে ৬টি ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। এলাকাটি মূলত ঝড়-বৃষ্টি প্রবণ। উপক‚ল এলাকায় জলের তোড়ে প্রায়ই নতুন জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাণী ও উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক ডেভিড মার্টিল বলেন, এই প্রথম পাথরের স্তরে এই ধরনের পায়ের ছাপ দেখা গেল। এটাকে ফোকস্টোর ফরমেশন বলা হয়। এটা খুবই বিরল ঘটনা। হয়ত শেষ জীবন্ত ডাইনোসরের পা পড়েছিল পাথরগুলোর ওপরে। পায়ের ছাপগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলো আলাদা আলাদা প্রজাতির। অনুমান করা যায় দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ওই অংশে একাধিক প্রজাতির ডাইনোসর ছিল। পায়ের ছাপগুলো আনুমানিক ১১০ বছর পুরনো। বিজ্ঞানীদের অনুমান, পিঠে কাঁটাজাতীয় এ্যাঙ্কিলোসরাস, তিন পা বিশিষ্ট থেরোপডস, মাংসাশী টাইরেনোসরাস, টাইরেনোসরার রেক্স, তৃণভোজী ও ডানা বিশিষ্ট অর্নিথোপডসের পায়ের ছাপ ওগুলো। কিউরেটর ফিলিপ হ্যাডল্যান্ড বলেন, ২০১১ সাল থেকেই কেন্ট এলাকার পাথরে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেছিলাম। অনেকবার ওই ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। বহুদিন ধরেই অনুসন্ধিৎসু হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু জোয়ারের পানিতে ভ‚মিক্ষয় হওয়ায় ধীরে ধীরে পায়ের ছাপ আরও স্পষ্ট হয়। প্রথমে সেটি হাতির পায়ের ছাপ মনে হলেও। পরে আরও খতিয়ে দেখে বোঝা যায় সেটি অর্নিথোপডিক্স নামে বিলুপ্ত প্রজাতির কোন প্রাণীর। গবেষণায় জানা গেছে, ১১০ বছর আগে ওই জাতীয় ডাইনোসরাসের অস্তিত্ব চীনেও পাওয়া যেত। ৬৫ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার আকৃতির ওই পায়ের ছাপ সেই সময়কার ডাইনোসরের পায়ের আকৃতির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। অধ্যাপক মার্টিল বলেন, এত যুগ পর এই জায়গায় ডাইনোসরাসের পায়ের ছাপ পাওয়া সত্যিই রোমহর্ষক! -ইন্ডিয়া টুডে
×