ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান বন্ধ

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২১ জুন ২০২১

ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। তবে প্যাডেলচালিত রিক্সা-ভ্যান চলবে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সারাদেশে রিক্সা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। এসব রিক্সা-ভ্যানে শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পেছনের চাকায় কোন ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই ধরনের দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি হাইওয়েগুলোতেও এসব রিক্সা চলে আসছে। আমরা সারাদেশে প্যাডেলচালিত রিক্সার বিষয়ে কিছু বলছি না। প্যাডেলচালিত রিক্সাকে যারা ইঞ্জিনে রূপান্তর করেছেন সেসব রিক্সা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আজকের সভায় হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিক্সার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেন কিন্তু অটোরিক্সা যানজটের কারণ এবং দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের নসিমন, করিমন, ভটভটি এবং ঢাকা শহরে বিভিন্ন রকমের অটোরিক্সা চলছে। আমরা এখনও যানবাহনের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারিনি। গ্রামাঞ্চলে সুন্দর রাস্তা হয়ে গেছে। সেখানে রিক্সা, বাইসাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল ছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। সেজন্য নসিমন, করিমন- এগুলো যানবাহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা হবে, যাতে খুব শীঘ্রই এটাকে পরিমিত এবং ফাইনালি বন্ধ করা যায়, আমরা সেটা নিয়েও কাজ করব। তিনি বলেন, ইজিবাইক যথেষ্ট পরিমাণে এসে গেছে। ছোট-ছোট গলিতে এগুলো চলার কথা ছিল, কিন্তু এখন এগুলো সর্বত্র বিচরণ করছে। আমাদের ঢাকা শহরে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার মোটরচালিত রিক্সা এবং ভ্যান ধ্বংস করে দিয়েছি। ইজিবাইকগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দেয়া হচ্ছে। তারা যেন তাদের নির্দিষ্ট স্থান থেকে বের হতে না পারে, হাইওয়ে বা বড় রাস্তায় না আসতে পারে, এটাও আমরা ক্রমান্নয়ে বন্ধ করে দেব। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেই কমিটির ১১১টি সুপারিশ ছিল। পরে এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বেশকিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে, অল্প কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করব আমরা সেই বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর যে মিটিং হয়েছিল সেখানে রবিবার নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ছয় মাসে কেন বাস্তবায়ন হয়নি, আবারও কেন পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে হলো? ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্তও আগে নেয়া হয়েছিল। এগুলো কেন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না? সড়ক আইনের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে আছে মালিকদের অবশ্যই নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেই আইনটি পাস হয়েছিল। সেটি পরিশুদ্ধ করে আবার পার্লামেন্টে আসছে। এটা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। আমরা দীর্ঘ আলাপ করেছি। চালক এবং শ্রমিকরা বিভিন্ন সময় জায়গা পাল্টায়। এক মালিক থেকে আরেক মালিকের কাছে চলে যায়। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা আসছে। সেজন্য বলে দিয়েছি, দুই পক্ষই বসে খুব শীঘ্রই এর ব্যবস্থা করে দিতে। এই ব্যবস্থা না করলে বিআরটিএ ব্যবস্থা নেবে। যাতে তারা রেজিস্ট্রেশন করার সময় সেগুলো চায়, না দেখাতে পারলে রেজিস্ট্রেশন দেবেন না, সে ধরনের একটা কথাবার্তা চলছে।
×